সোনামুখী-বেলিয়াতোড় সড়কে ভৈরবডাঙা এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা গেলেন মোটরবাইক চালক। আর বাসের নীচে মোটরবাইক আটকে গিয়ে অন্য বিপত্তি তৈরি হয়। মোটরবাইকটিকে ওই অবস্থায় বেশ কিছুটা পথ টেনে নিয়ে যায় বাস। ঘর্ষণে জ্বলে ওঠে মোটরবাইক। তবে বাসের কিছু হয়নি। তাতে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। পরে বাস থামিয়ে চম্পট দেন চালক-সহ বাস কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বেলিয়াতোড়ের ভৈরবডাঙা এলাকায় সোনামুখী-বেলিয়াতোড় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিধান মাকুড় (৪০) সোনামুখীর ইছারিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি মোটরবাইক নিয়ে একটি রাস্তা থেকে সোনামুখী-বেলিয়াতোড় রাস্তায় ওঠেন। ঠিক সেই সেই সময়েই তীব্র গতিতে ছুটে আসা বেলিয়াতোড়মুখী একটি সরকারি বাস মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। বিধানবাবু ছিটকে পড়েন কিছুটা দূরে। কিন্তু তাঁর মোটরবাইক বাসের তলায় আটকে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনার পরে বাস চালক গাড়ি থামাননি। উল্টে বাসের নীচে চাপা পড়া মোটরবাইকটি নিয়েই বেশ কিছুটা পথ তিনি এগিয়ে যান। রাস্তায় ঘর্ষণের ফলে মোটরবাইকের তেলের ট্যাঙ্ক ফেটে আগুন ধরে যায়। তবে বাস থামিয়ে চালক ও কর্মীরা পালালে যাত্রীরা নেমে যান। ততক্ষণে জ্বলন্ত মোটরবাইকটিও বাস থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করে বিধানবাবুকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই বাসের যাত্রী জিতেন মল্লিক, সুকান্ত পাল বলেন, “দুর্ঘটনার পরেও বাসটি ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। গোটা ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। ওই মোটরবাইকের আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়লে বাসযাত্রীদের জীবন সংশয় হয়ে পড়ত।” পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি আটক করে তদন্ত শুরু হয়েছে। চালক-সহ বাসকর্মীদের খোঁজ চলছে।