সুভাষ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র
‘লালপাহাড়ির দেশে যা’ গান গেয়ে বাঙালিকে মাতিয়ে রাখা জনপ্রিয় ঝুমুর শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী শনিবার কলকাতার একটি নার্সিংহোমে প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। আদতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুভাষ কবি অরুণ চক্রবর্তীর ‘লালপাহাড়ির দেশে যা’, চারণকবি বৈদ্যনাথের ‘বাঁকুড়ার ঘোড়া’ প্রভৃতি গান গেয়ে সাড়া ফেলেছিলেন। ‘বাঁকুড়ার মাটিকে পেন্নাম করি দিনে দুপুরে’, ‘কানাকাড়া’র মতো বহু জনপ্রিয় লোকসঙ্গীতেরও স্রষ্টা তিনি। দূরদর্শন, আকাশবাণী এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সংস্কৃতি মহলে। কবি অরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রচলিত সুরে সুভাষ আমার লালপাহাড়ির গানটা গাওয়ার পরেই তাঁকে রেকর্ডিং কোম্পানিতে নিয়ে যাই। পুজোর গান হিসেবে হেমন্ত, মান্না, আরতিদের পাশে নতুন মুখ হিসেবে সুভাষ উঠে এসেছিলেন। সুভাষের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’’
সমাজ মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর খবর জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুভাষের মেয়ে অর্পিতা চক্রবর্তী। সুভাষের ছেলে অর্পণ চক্রবর্তী জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে শিল্পী কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। মাঝে এক দিন তাঁকে কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন শিল্পী। ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। এ দিন বেলায় মারা যান। পরে সুভাষের দেহ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে পৈতৃকবাড়ি বেলিয়াতোড়ে নিয়ে আসার কথা।