বইয়ের হাল। নিজস্ব চিত্র
পাঁচিল বিতর্কের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে আশ্রমের অভ্যন্তরীণ দিকগুলি নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তনীদের একাংশ।
কয়েক দিন ধরেই প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের বড় অংশ বিশ্বভারতীর প্রাচীন বাড়িগুলির দুরবস্থা এবং বাৎসরিক অর্থনৈতিক রিপোর্ট প্রকাশ না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন সামাজিক মাধ্যমে। সঙ্গীতভবন ও আশ্রম মাঠ লাগোয়া তিনসঙ্গী ও দশচক্র হস্টেল, মৃণালিনী ছাত্রী নিবাস, বিদ্যাভবন হস্টেলগুলির দুরবস্থা নিয়েও সরব হয়েছেন। লকডাউনে বহু দিন বন্ধ থাকার ফলে ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসগুলিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। আগাছায় ভরে গিয়েছে চতুর্দিক। ঘরের ভেতরের জিনিসপত্রগুলিও পরিণত হচ্ছে পোকামাকড়ের খাবারে কিংবা উই-এর ঢিবিতে।
আশ্রমিকদের অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যম কিংবা অন্য কোনও পদ্ধতিতে বারবার এমন পরিবেশের ছবি তুলে ধরার পরেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বভারতীরই এক ছাত্র পূর্বপল্লি সিনিয়র বয়েজ় হস্টেলের একটি ঘরের ছবি ‘আপলোড’ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে উই-এর ঢিবিতে ঢাকা পড়ে গিয়েছে সমস্ত বইপত্র। বিশ্বভারতী ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, “হস্টেলের ঘরগুলিতে এই ধরণের সমস্যা প্রক্টর, ডেপুটি প্রক্টর ও ওয়ার্ডেনরা খতিয়ে দেখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।’’
এর পাশাপাশি ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের পরে কেন বিশ্বভারতী এখনও আর একটিও বাৎসরিক ফিন্যান্স রিপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেনি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তনীরা। তাঁদের দাবি, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে এতটা দেরি বিষ্ময়কর। এ ছাড়া বিশ্বভারতীর কোনও অ্যাসেট রেজিস্ট্রার না থাকা, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তির বিমা না থাকা, কোনও অডিট ম্যানুয়াল না থাকা, কর্মসমিতির বৈঠকের কোনও নির্দিষ্ট সূচি না থাকা সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। কর্মীদের হেনস্থা, আশ্রমিকদের নিন্দা, গবেষকদের প্রাপ্য ফেলোশিপ না দেওয়ার মতো ঘটনার বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে। যদিও আর্থিক বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি।