ফের বেতন বিভ্রাট বিশ্বভারতীতে। —ফাইল চিত্র।
অগস্ট গড়িয়ে সেপ্টেম্বর। ফের বেতন বিভ্রাটের মুখে পড়লেন বিশ্বভারতীর কর্মীরা। ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত শান্তিনিকেতন। সেই জল গড়িয়েছে আদালতেও। এই পরিস্থিতির জেরেই বুধবার (সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী) বেতন হয়নি বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশের। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে এমন ঘটনা ঘটল দ্বিতীয় বার। এর পিছনে প্রতিহিংসাই দেখছেন অধ্যাপকদের ওই অংশ। যদিও বুধবার রাতেই বেতন হয় বিশ্বভারতীর কর্মীদের।
তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের জেরে অশান্ত শান্তিনিকেতন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা। বুধবার তাঁদের আন্দোলন ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের পয়লা দিনটিতেই বিশ্বভারতীর কর্মচারীদের অগস্টের বেতন হওয়ার কথা। তেমনটাই নিয়ম বিশ্বভারতীতে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেতন না হওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল কর্মীদের মধ্যে। এ নিয়ে বিশ্বভারতীর অথর্নীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য চক্রান্ত করে এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এই কর্মকাণ্ড করেছেন। এর আগেও এই উপাচার্য বেতন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।’’ যদিও সব আশঙ্কা কাটিয়ে রাতেই বেতন হয় কর্মীদের।
এর আগে বিশ্বভারতীতে বেতন বিভ্রাট হয়েছিল চলতি বছরের জুলাইতে। জুনের বেতন পেতে জুলাইয়ের প্রায় অর্ধেক কেটে যায় বিশ্বভারতীর স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৩০০ কর্মীর।