cow smuggling scam

গরুপাচারে নজরে, কোথায় শ্যামাপদ?

বোলপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপট্টির বাসিন্দা শ্যামাপদ। ইটের গাঁথনি দেওয়া ছোট্ট বাড়িতে একাই থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শাসকদলেরতৃণমূল করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ০৯:০৯
Share:

শ্যামাপদ কর্মকার। নিজস্ব চিত্র

ইটের গাঁথনি তার উপরে ত্রিপলের ছাউনি। দেখে বোঝার উপায় নেই, এই ঘরের মালিক শ্যামাপদ কর্মকারের অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছিল বিপুল টাকা! অন্তত এমনই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। এমনকি মোটা অঙ্কের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছিল গরু পাচার মামলায় চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। এ দিকে, এই খবর চাউর হতেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন শ্যামাপদ।

Advertisement

বোলপুর শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপট্টির বাসিন্দা শ্যামাপদ। ইটের গাঁথনি দেওয়া ছোট্ট বাড়িতে একাই থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শাসকদলেরতৃণমূল করেন। দিনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি থাকতেন বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। ভোট এলে দেওয়াল লেখা থেকে শুরু করে সব কাজেই হাত লাগাতেন। ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, শ্যামপদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। তাঁর একটি অ্যাকাউন্টে অল্প পরিমাণ টাকার লেনদেন ছিল। কিন্তু, অন্য একটি অ্যাকাউন্টে অনেক লেনদেন হয়েছে। তাঁর নামে থাকলেও এই দ্বিতীয় অ্যাকাউন্টটি দলের কাজে ব্যবহার করা হতো বলে ইডিকে জানিয়েছেন শ্যামাপদ। অনুব্রত মণ্ডল ও সেহগাল হোসেনের কথাতেই সেই ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টটিতে দীর্ঘদিন ধরে টাকা জমা করে আসতেন বোলপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান ওমর শেখ ও তৃণমূল কর্মী তাপস মণ্ডল।

চার্জশিটে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গরুপাচারের বিপুল টাকা লুকিয়ে রাখতে ঘনিষ্ঠদের ব্যবহার করেছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁদের দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলি গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার হাতিয়ার ছিল। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘উনি এক জন সাধারণ কর্মী মাত্র। তাঁকে ঢাল করে যে কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল, তা আজ পরিষ্কার। তাই আমাদের মনে হয় শ্যামাপদের বেপাত্তা হওয়ার পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা তথা বোলপুরের উপ-পুরপ্রধান ওমর শেখ বলেন, ‘‘এই ধরনের তথ্য আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement