প্রতীকী ছবি।
জরুরি বিভাগে এক আসন্ন প্রসবাকে একাধিক চড় মারার অভিযোগ উঠল এক মহিলা ডাক্তারের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে মঙ্গলবার এই মর্মে অভিযোগ করেছেন আসমিনা বিবি নামে ওই প্রসূতির বাবা বাঁকুড়া সদর থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা আসরফ আলি খান।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে প্রসূতি বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সময়ে এক মহিলা ডাক্তার তাঁর মেয়েকে তিন বার চড় মারেন।
আসরফ আলির দাবি, ‘‘অসাবধানে মেয়ের হাত ওই ডাক্তারের গায়ে লেগে যাওয়ায় বিরক্ত হয়ে তিনি চড় কষান। এমন ব্যবহার আশা করিনি। যদি মেয়ের কিছু হয়ে যেত! ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’’
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “লিখিত অভিযোগপত্র আমার হাতে আসেনি। তবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক অভিযোগ। এর যথাযথ তদন্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”
পরিবার সূত্রের খবর, নতুনগ্রামের আসমিনা বিবিকে সোমবার বাঁকুড়া মেডিক্যালের বহির্বিভাগে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় সেখান থেকে সরাসরি স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়।
আসমিনার বাবা জানান, প্রসূতি ওয়ার্ডে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আসমিনার সঙ্গে তাঁর মা জয়নুন্নেসা বিবি প্রসূতি ওয়ার্ডের জরুরি বিভাগে যান। আসরফ আলির দাবি, সোমবার রাতে অস্ত্রোপচার করে আসমিনার মেয়ে হয়।
এ দিন সকালে তিনি ওয়ার্ডে ঢুকে দেখেন তাঁর মেয়ের গাল ফোলা। প্রশ্ন করায় তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী জানান, ওই মহিলা ডাক্তার চড় মারায় গাল ফুলেছে। তিনি অবশ্য ওই মহিলা ডাক্তারের নাম জানাতে পারেননি।
অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘কোন মহিলা ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।’’