Corona

বাড়ছে সংক্রমণ, কোভিড হাসপাতাল খোলার তোড়জোড়

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হওয়ার কথা।

Advertisement

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ০৬:১১
Share:

—ফাইল চিত্র।

নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে কোভিড হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ শুরু হল। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, ‘‘করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার জন্য যে নার্সিংহোমে ৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছিল, প্রয়োজনে সেখানেই আবার করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। সেই মতো স্বাস্থ্য ভবনকেও জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের চিকিৎসা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হওয়ার কথা। কিন্তু, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি গড়ে তুলতে পারেননি বলে খবর। এর ফলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে। সোমবার দু’জন করোনা রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

অন্য দিকে, গত দু’তিন দিনে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ২০ জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি ১৭ জনকে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে তিন জনের মধ্যে দু’জনকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ কাবেরী বড়াল বলেন, ‘‘ওই দু’জন রোগীর দেহে অক্সিজেনের মাত্রা খুবই কমে গিয়েছিল। সেই কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।’’ অন্য দিকে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে দু’জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার।’’

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ থাকার পরেও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কেন এখনও পর্যন্ত করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়নি সেই প্রশ্ন উঠেছে। অধ্যক্ষ নতুন এসেছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কাম ভাইস প্রিন্সিপাল পলাশ দাসের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান মেডিক্যালের অধ্যক্ষাকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।

রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার জন্য জাতীয় সড়কের ধারে যে নার্সিংহোমে ৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছিল, রোগী কমে যাওয়ায় গত দেড় মাস আগে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ২০ করা হয়। আবার তা খোলার তোড়জোড় শুরু হল। স্বাস্থ্যকর্তারা বারেবারেই মনে করিয়েছেন, হাত ধোয়া, মাস্ক পরা বা দূরত্ববিধিতে জোর না দিলে বিপদ আবারও বাড়তে দেরি নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement