পতাকা উত্তোলনে দিলীপ ঘোষ। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
তাঁদের দল ‘দেশভক্তি’ এবং ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে বরাবর বড়াই করে। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে উল্টো করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বসলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ! তার ফলে যারপরনাই বিড়ম্বনাতেও পড়েছেন তিনি। স্বীকার করেছেন যে, এটা একটা ‘অস্বস্তিকর’ ঘটনা।
মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পর দিলীপ গিয়েছিলেন বীরভূম জেলার রামপুরহাটের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে পতাকা উত্তোলনের সময়ই ঘটে বিপত্তি। দিলীপ পতাকা তুলতে তুলতেই দেখতে পান, সেটি উল্টো করে লাগানো হয়েছে। দ্রুত ভুল বুঝতে পারেন সেখানে উপস্থিত অন্যরাও। কিন্তু ততক্ষণে বিপত্তি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে! তার পর দ্রুত নিজেই পতাকাটি সোজা করে লাগিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি।
ঘটনার পর যোগাযোগ করা হলে দিলীপ বলেন, ‘‘এটা একটা খুবই অস্বস্তিকর ঘটনা। পতাকা তোলার আগে তো পরীক্ষা করে দেখিনি। কিন্তু পতাকা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টা আমার চোখে পড়ে। তখন নিজেই হাত লাগাই। তার পর সঠিক ভাবে জাতীয় পতাকা তুলি। যাঁরা ওই দায়িত্বে চিলেন, তাঁদের পরে বলেছি, এমন ভুল যেন আর কখনও না হয়।’’ তবে পাশাপাশিই দলের কর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার কোনও উদ্দেশ্য ওঁদের ছিল না। ভুল করেছেন। সংশোধন করেছেন।’’
তারাপীঠ থেকে ফিরে রামপুরহাটে একটি চা চক্রে অংশগ্রহণ করেন দিলীপ। তার পরই সেখানকার দলীয় কার্যালয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ঘটে-যাওয়া অনভিপ্রেত ওই ঘটনার ভিডিয়ো ছডিয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দিলীপকে উল্টো পাতাকা তুলতে এবং ভুল বুঝতে পেরে সেটি সোজা করে লাগাতে। ঘটনাচক্রে, তখন সেখানে উপস্থিত অধিকাংশ কর্মী-সমর্থকই ভারতমাতার নামে স্লোগান দিতে ব্যস্ত ছিলেন। ভুল শুধরে ঠিকমতো জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সমবেত সকলকে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আহ্বান জানান দিলীপ। কার্যালয়ে উপস্থিত সকলে যোগ দেন তাতে।
সোমবার রাতে তারাপীঠ পৌঁছেছিলেন দিলীপ। মঙ্গলবার ভোরে পুজো দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে ২০০-র বেশি আসন কামনা করেন। প্রসঙ্গত, তারাপীঠে কিছুদিন আগে পুজো দিয়েছিলেন বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। তিনি পুজো দিয়ে চেয়েছিলেন ২২০টি আসন। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ তোলায় দিলীপ বলেন, ‘‘মা জানেন কারা কেমন। সে ভাবেই মা আসন দেবেন।’’