নিজস্ব চিত্র
ডেউচা পাচামি প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য। মঙ্গলবার সেই প্রকল্পে জমিদাতাদের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের মতো জমি অধিগ্রহণ নয়। আলোচনা করেই সবটা হবে। একই সঙ্গে আর্থিক সাহায্য, চাকরি ও পুনর্বাসনের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু সেই প্যাকেজের কথা জানার পর বীরভূমের মহম্মদবাজারের ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ চাইছেন, রাজ্য সরকার আগে আলোচনা করুক, পুনর্বাসন দিক। তার পর জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।
যে জায়গায় এই প্রকল্প হবে, তার একটা বড় অংশ আদিবাসী অধ্যুসিত। হাজার তিনেক আদিবাসী বাসিন্দা আছেন ওই এলাকায়। তাঁদেরই এক জন জমিদাতা সোমনাথ হেমব্রম মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা চাই, মুখ্যমন্ত্রী যেমন ঘোষণা করেছেন সেই মতো সরকারি কাগজ প্রকাশ করা হোক। প্রশাসন আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসুক। তার পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’’ অন্য এক জমিদাতা শ্যামল মুর্মু বলেন, ‘‘সরকার পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছে। সেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা আগে করা হোক। সেটা দেখেই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’
আদিবাসী পরিবারগুলির একাংশের দাবি, ওই এলাকায় সরকারি জমি রয়েছে। সেগুলি ফাঁকা পড়ে। সেখানেই প্রকল্প হোক। পাশাপাশি সরকারি ভাবে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও উঠেছে। স্থানীয় আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক তথা জমিদাতা রবিন সোরেন বলেন, ‘‘আমরা চাই গ্রামের পাশে থাকা সরকারি জমির উপর প্রকল্প হোক। আমরা কোনও ভাবেই উচ্ছেদ চাইছি না।’’ ওই এলাকায় ১৪টি আদিবাসী গ্রাম আছে। ওই গ্রামগুলির সকলের সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা করুক, এমন দাবিই তুলেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা আগেও কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রাথমিক ভাবে, সরকারি জমির উপরেই কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তী বিষয় অবশ্যই আলোচনাসাপেক্ষ। ওই এলাকায় তিন ধরনের জমি রয়েছে। বনাঞ্চল, সরকারি জমি এবং ব্যক্তিগত জমি। আমরা এলাকার সকলের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করব। পরবর্তীতে রাজ্য সরকার যেমন নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী কাজ হবে।’’