দেউচা-পাচামিতে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
ডেউচা-পাচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে বিতর্কের আবহেই সেখানে পা পড়ল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের প্রতিনিধিদের। মঙ্গলবার ওই এলাকার একাধিক পাথর খাদান এবং ক্রাশার পরিদর্শন করেন তাঁরা।
সেখানে একাধিক খাদান এবং ক্রাশার ঘুরে দেখেন ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইবুনালের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তাঁরা মূলত খাদান এবং তার চারপাশের এলাকায় দূষণ কতটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন। খাদানে নেমে তাঁরা ছবিও তোলেন। যদিও এ নিয়ে তাঁরা কিছু বলতে চাননি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রণজয় মণ্ডল নামে মহম্মদবাজার ব্লক ভূমি ভুমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিকও।
ডেউচা-পাচামি এলাকায় বেআইনি ভাবে পাথর খাদান এবং ক্রাশার চালানোর অভিযোগ দীর্ঘ দিন তুলছেন আদিবাসীরা। এ নিয়ে আদিবাসী গাঁওতার জেলা সম্পাদক রবীন সোরেন বলেন, ‘‘গ্রিন ট্রাইবুনাল আজ যে ভাবে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে তা ভাল। আমরা বার বার দাবি করছি, আইনি ভাবে খাদান এবং ক্রাশার চলুক। এর পর কয়লা শিল্প হলে যদি পরিবেশ দূষণ আবার হয় তা হলে সে ক্ষেত্রেও আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মহম্মদবাজারের ওই এলাকায় ২০০-র বেশি ক্রাশার রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ছ’টি নিয়ম মাফিক চলে বলে আদিবাসী গাওঁতার দাবি। অভিযোগ, গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ সত্ত্বেও বাকি ক্রাশারগুলি বেআইনি ভাবে এখনও চলছে। যদিও মঙ্গলবার বন্ধ ছিল খাদান এবং ক্রাশার। মনে করা হচ্ছে, ডেউচা-পাচামি কয়লা খনি তৈরি হলে পাথর খাদান এবং ক্রাশারগুলি সে ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে উঠতে পারে।