নিজস্ব চিত্র।
নির্বিঘ্নেই হল ডেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লাখনির তথ্যভিত্তিক সমীক্ষার দ্বিতীয় দিনের কাজ। শুক্রবার প্রকল্প এলাকার কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে ‘বোর হোল’ করা হয়। সে কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি, গোটা গ্রাম শিল্পের পক্ষে।
মাটির নীচে রয়েছে রাশি রাশি কয়লা। কিন্তু মাটির তলে কোন স্তরে, কত কয়লা জমা আছে তা উপর থেকে বোঝা সম্ভব নয়। সে জন্য ডেউচাতে শুরু হল তথ্যভিত্তিক সমীক্ষার কাজ। খনি গড়ার নোডাল এজেন্সি পিডিসিএল সূত্রে খবর, মোট ৭৯টি জায়গায় ‘বোর হোল’ করে দেখা হবে মাটির তলায় কোথায়, কত কয়লা গচ্ছিত আছে। সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও কেন্দ্রগড়িয়া গ্রামে ‘বোর হোল’ করা হয়। এ কাজে পিডিসিএলকে প্রত্যক্ষ ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয়রা। তাদের সাফ কথা, তারা শিল্পের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু সরকার যেন তাদের বঞ্চিত না করে। খনি হলে যেন স্থানীয়রা সেখানে চাকরি পায়।
বৃহস্পতিবার বোরিং করার আগে বাধা দেয় মহাসভা। কিন্তু তাতে রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। শুক্রবার অবশ্য পুলিশের ঘেরাটোপে বোরিং চলে। হাজির ছিলেন বিডিও, বিএলআরও এবং পিডিসিএলের আধিকারিকরা।