সরকারি প্রকল্পের সুফল, দাবি
Madhyamik Candidates

মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি সাত হাজার

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা বলছেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:২০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্কুলের পরিকাঠামো, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত অথবা স্কুলছুট নিয়ে যতই প্রশ্ন থাকুক, গত বছরের থেকে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল ৭ হাজার ১৫০। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ১৫০ (রেগুলার, সিসি, কম্পার্টমেন্টাল মিলিয়ে)। যদিও পরীক্ষায় বসেছিল ৩৮ হাজার ১২৯ জন ছাত্রছাত্রী। চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৭ হাজার ৩০০। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে।

Advertisement

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা বলছেন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষা দফতরের আধিকারিক। তবে, এক বছরে সাত হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী বেড়ে যাওয়াকে ‘ইতিবাচক’ হিসাবেই দেখছেন তাঁরা। প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে, মূলত দু’টি কারণে পরীক্ষার্থী বেড়েছে। প্রথমত, কোভিড পরিস্থিতি পিছনে ফেলে স্কুলে পাঠ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানা সরকারি প্রকল্প তাদের স্কুলমুখী করেছে।জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্তের দাবি, ‘‘স্কুলছুট রুখতে লাগাতার প্রচার এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্যই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এতটা বড়েছে।’’

জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, মিড-ডে মিল, পোশাক, সাইকেল, কন্যাশ্রী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্রদের জন্য ঐক্যশ্রী, একাদশে উঠলে ট্যাব কেনার টাকা, পরীক্ষার ফল ভাল করলে বৃত্তি—এমন নানা কল্যাণকর প্রকল্প ছাত্রছাত্রীদের অন্তত মাধ্যমিক পাশ করার দিকে ঝুঁকিয়েছে।প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সংগঠন অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের জেলা সভাপতি নিত্যানন্দ বারুই বলেন, ‘‘এটা অস্বীকার করার উপায় নেই সরকারি প্রকল্প সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে। আগে ছাত্রীরা স্কুলে থাকলেও ছাত্রদের অনেকেই লেখাপড়া ছেড়ে দিত। এখন সরকারি প্রকল্পের জন্য অন্তত মাধ্যমিক পাশ করে তারা একাদশে উঠতে চাইছে।’’ তবে এর সঙ্গে স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীর শূন্যপদ পূরণ হলে আরও ভাল হত বলে তাঁর অভিমত।

Advertisement

বিজেপির শিক্ষক সেলের আহ্বায়ক মোহন সিংহ অবশ্য বলেন, ‘‘পরিসংখ্যান সবটা বলে না। কী ভাবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি ধরেও নিই সরকারি প্রকল্পের জন্য সংখ্যাটা বেড়েছে, তাতে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে কি?’’ সংখ্যা বাড়লেও পড়ুয়াদের গুণগত মান বাড়ছে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সংগঠনের জেলা সম্পাদক আশিস বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যা একটি বিষয়। কিন্তু সংখ্যাটাই সব নয়। সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীর গুণগত মানের দিকও বিচার করতে হবে। আদৌ সেটা ঘটছে কি?’’ তাঁর দাবি, স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাই পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই। এই অবস্থায় এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের পড়াবেন কারা?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement