প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে রোজই ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় এবং তিন জন ডেঙ্গিতে আক্রান্তের খোঁজ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে সব ধরনের পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছু দিন ধরে প্রতি দিন এই হাসপাতলে ৬০-৭০ জন করে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসছেন। এর মধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও আছেন। অবস্থা বুঝে চিকিৎসকেরা ভর্তি নিচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহিলা বিভাগের এক জন এবং পুরুষ বিভাগের দু’জনের শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ ধরা পড়েছে। তাঁরা বোলপুর শহর ও শহর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁদের হাসপাতালে আলাদা ঘরে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে শিশু বিভাগে ৫০ শয্যার জায়গায় প্রায় ৭০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। তাদের অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে এসেছে। গত মঙ্গলবার থেকে শনিবার পর্যন্ত শুধু জ্বরের উপসর্গ নিয়ে শিশু ও বড় মিলিয়ে ১৪৮ জন রোগী বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও এর মধ্যেই কয়েক জনকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অন্য জেলার পাশাপাশি, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলাতেও ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কেউ মারা যাননি। সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
তবে গত সাত দিন ধরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে যত রোগী ভর্তি হয়েছেন, অধিকাংশেরই জ্বরের উপসর্গ থাকায় চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। শারীরিক অবস্থা বুঝে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া থেকে শুরু করে স্ক্রাব টাইফাসের মতো রোগের সনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। এ বিষয়ে বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “এই সময় জ্বরের উপসর্গ নিয়ে অধিকাংশ রোগী ভর্তি হওয়ায় চিন্তা তো থেকেই যাচ্ছে। তবে আমাদের তরফে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগের পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। যাঁদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তাদের বলব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ওষুধপত্র থেকে শুরু করে, সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা রাখছি।”