পঞ্চায়েতের সামনে ধর্না
TMC

পঞ্চায়েতের সামনে ধর্না বিরোধী দল করায় প্রকল্প থেকে ‘বাদ’

শনিবার বিডিও-র (রানিবাঁধ) সঙ্গে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর ৩টা নাগাদ ধর্না ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩২
Share:

রানিবাঁধ ব্লকের অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের সামনে ধর্না। নিজস্ব চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাঁদের নাম কেটে দেওয়ার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যের নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ধর্নায় বসলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের অম্বিকানগর পঞ্চায়েতের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসেন লদ্দা গ্রাম সংসদের প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের
প্রদীপ বাউরি।

Advertisement

আজ, শনিবার বিডিও-র (রানিবাঁধ) সঙ্গে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর ৩টা নাগাদ ধর্না ওঠে। বিডিও (রানিবাঁধ) কৌশিক মাইতিকে ফোন করা হলে তিনি মেসেজ় পাঠিয়ে জানান, ব্যস্ত রয়েছেন। পরে আর ফোন ধরেননি। এসডিও (খাতড়া) মৈত্রী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। কী হয়েছে, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

লদ্দা গ্রাম সংসদের সদস্য বিজেপির রোহিতাশ্ব মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘২০১১-’১২ সালের সমীক্ষার তালিকায় এই গ্রাম সংসদের ১১২ জনের নাম ছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যাঁদের নাম আগের তালিকায় ছিল, এ রকম ৩০ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই প্রধান ক্ষমতায় আসার পরে, রাজনৈতিক রং দেখে ঠিক করছেন, কাকে বাড়ি দেওয়া হবে, আর কাকে দেওয়া হবে না। ফলে, গ্রাম সংসদে নির্বাচিত হয়েও মানুষের নায্য অধিকার তাঁদের হাতে তুলে দিতে পারছি না।’’

Advertisement

তিনি জানান, পুলিশের আশ্বাসে এ দিন তাঁরা ধর্না তুলেছেন। শনিবার বিডিও অফিসে যেতে বলেছে পুলিশ। সেখানে সুবিচার না পেলে, বৃহত্তর আন্দোলন হবে জানিয়েছেন তিনি।

যদিও অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের প্রদীপ বাউরির দাবি, ‘‘ওই তালিকা তাঁর আগের প্রধান ঠিক করে গিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে আমার কোনও ভূমিকা নেই।’’ আগের প্রধানের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

লদ্দা গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ মাহাতো, রসনা মাহাতোর দাবি, ‘‘তালিকায় আবাস যোজনার উপভোক্তা হিসেবে আমাদের নাম ছিল। বলা হয়েছিল, ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী, পর পর বাড়ি হবে। কিন্তু গত পঞ্চায়েত ভোটে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিরোধী রাজনীতি করায়, এই গ্রাম থেকে বিজেপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার পরেই স্থানীয় শাসকদলের নেতাদের অঙ্গুল হেলনে গ্রামের প্রায় ৩০ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এ দিন প্রধানের অফিসের সামনে ধর্নায় বসা হয়।’’

তবে রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো তাঁদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, ‘‘রাজনীতির রং বিচার করে আমরা উন্নয়ন করি না। ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। ক্রমিক সংখ্যা অনুযায়ী, পর পর বাড়ি পাচ্ছেন উপভোক্তারা। ভোটের আগে বিজেপি লোকজনকে উস্কে মিথ্যার
রাজনীতি করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement