দিব্যাংশু চন্দ্র। নিজস্ব চিত্র
দু’টি পৃথক সর্বভারতীয় পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষের এক পড়ুয়া।
কলেজ সূত্রে খবর, দিব্যাংশু চন্দ্র নামে ওই রসায়নের তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া আইআইটি থেকে বিজ্ঞান শাখায় স্নাতকোত্তর করার জন্য সর্বভারতীয় স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা জ্যাম-এ (জয়েন্ট অ্যাডমিশন ফর এমএসসি) তৃতীয় হয়েছেন। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্স (টিআইএফআর) থেকে ইন্টিগ্রেটেড স্নাতকোত্তর ও গবেষণার (এমএসসি-পিএইচডি) সুযোগও পেয়েছেন তিনি। সিউড়ি থেকে পড়াশোনা করে জাতীয় স্তরে তাঁর এই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সিউড়ি পুর এলাকায় চাঁদনি পাড়ায় থাকেন দিব্যাংশু। মা প্রয়াত হয়েছেন। বাড়িতে বাবা দেবনাথ চন্দ্র এবং দশম শ্রেণির পড়ুয়া বোন সুদীপ্তা। খুশি গোটা পরিবার। দিব্যাংশু জানালেন, ‘‘প্রথম দিন থেকে স্বপ্ন ছিল আইআইটিতে সুযোগ পাওয়ার। তাই কলেজে ভর্তি হওয়ার দিন থেকে সর্বভারতীয় ওই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গোটা লকডাউনের সময়টা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।’’
জ্যামের পরীক্ষা ছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এ বারে ওই পরীক্ষায় ১২,৯৪০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তৃতীয় হয়ে খুশি দিব্যাংশু। তিনি বলছেন, ‘‘যে র্যাঙ্ক হয়েছে তাতে মুম্বইয়ের আইআইটিতে সুযোগ পাব আশা করছি।’’
কলেজে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক দেবব্রত সাহা বলছেন, ‘‘প্রতি বছরই আমাদের কলেজ থেকে দু-একজন পড়ুয়া জ্যাম পাশ করে। তবে এত ভাল ফল এই প্রথম।’’ কেবই আইআইটিতে স্নাতকোত্তরে সুযোগের পরীক্ষাই নয়, টিআইএফআর-এ সুযোগ পাওয়াও অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা। কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান ত্রিজিৎ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘যত দিন গিয়েছে তত উজ্জ্বল হয়েছে দিব্যাংশু। গোটা লকডাউন সময়কালে লক্ষ্যে স্থির থেকে পরিশ্রম করে ধার বাড়িয়ে নিয়েছে। তারই ফল পেয়েছে দিব্যাংশু ।’’