বাঁকুড়ার তালড্যাংরায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল হায়নার। ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তার উপরে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হায়নার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার তালড্যাংরায়। বুধবার সকালে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা-পাঁচমুড়া রাস্তার উপর মৃত হায়নাটিকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বন দফতরে খবর দেন। এর পর হায়নাটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান বনকর্মীরা।
প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, মঙ্গলবার গভীর রাতে রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগামী কোনও গাড়ির ধাক্কায় হায়নাটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। বিষ্ণুপুর বনবিভাগের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে হায়নাটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের অনুমান, নতুন এলাকায় আসায় হায়নাটির রাস্তাঘাট ও পরিবেশ অচেনা ছিল। তাই রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
বনদফতর সূত্রের খবর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এই ৩ জেলার সীমানাবর্তী জঙ্গলে হায়নার উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বাঁকুড়ার তালড্যাংরার জঙ্গলে সে অর্থে হায়না দেখা যায়নি। স্থানীয় পরিবেশকর্মী সোমনাথ সিংহ মহাপাত্র জানান, সুতান এবং খাতড়া-সহ বাঁকুড়া জেলার কয়েকটি অঞ্চলে নেকড়ের (ইন্ডিয়ান গ্রে উল্ফ) দেখা মিললেও সাম্প্রতিক কালে হায়নার উপস্থিতি নজরে আসেনি।
বন দফতরের ধারণা, খাবারের খোঁজে হোক বা নতুন বসতির সন্ধানে হায়নাটি পুরুলিয়া বা ঝাড়গ্রামের সীমানাবর্তী জঙ্গল থেকে তালড্যাংরার অদূরে মাদাবনির জঙ্গলে এসেছিল। রাতে দ্রুতগামী গাড়ির তীব্র আলোয় হায়নাটি হতভম্ব হয়ে পড়ায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ডিএফও বলেন, ‘‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হলেও নতুন এলাকায় হায়নার আগমন নিশ্চিত ভাবেই জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্রের নিরিখে ভাল বার্তা।’’