ত্রাস: হেঁসলা গ্রামের পাশ দিয়ে চলেছে দাঁতাল। নিজস্ব চিত্র
এক দাঁতালকে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বনকর্মীদের। এরই মধ্যে জনতার আতঙ্ক বাড়িয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে ঝালদায় ঢুকল আর এক দাঁতাল।
বন দফতর সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ড সীমানা টপকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝালদা বনাঞ্চলের পুস্তি পঞ্চায়েতের বিশুলি গ্রামে ঢোকে একটি হাতি। তার হামলায় মনোরঞ্জন মাহাতো নামে এক গ্রামবাসীর ঘরের একাংশ গুঁড়িয়ে যায়। আনাজও নষ্ট করেছে হাতিটি।
মনোরঞ্জনবাবু রবিবার বলেন, ‘‘রাতে সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ হাতির ডাকে ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির এক কোণে চুপচাপ বসে থাকি সকলে। কিছুক্ষণ পরে দেখি, বাড়ির এক দিকটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ছে।’’ গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, বিশুলি গ্রাম থেকে বেরিয়ে হাতিটি রাস্তার পাশের খেতে নেমে পড়ে। আনাজ তছনছ করে। ভোরের দিকে কর্মাডি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দাঁতালটি।
বন দফতর জানিয়েছে, বিকেলও হাতিটি কর্মাডি গ্রামের পাশের জঙ্গলে ছিল। ঝালদা রেঞ্জের আধিকারিক অমিয়বিকাশ পাল জানান, একটি বাড়ির আংশিক ক্ষতি করেছে হাতিটি। ক্ষতি করেছে ফসলেরও। নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের।
ঝালদা এলাকা থেকে শনিবার ভোরে দলছুট একটি হাতি বাঘমুণ্ডির কালিমাটি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতিটি কালিমাটি বিট এলাকার পেড়েতোড়াঙের জঙ্গলে রয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছেন বাঘমুণ্ডি রেঞ্জের অধিকারিক মনোজকুমার মল্ল। তিনি জানান, হাতিটির গতিবিধি নজরে রাখা হয়েছে। দাঁতালটি যাতে লোকালয়ে ঢুকে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে সতর্ক রয়েছে বন দফতর। কয়েকদিন ধরেই তাকে তাড়িয়ে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। কিন্তু হাতিটি ঝাড়খণ্ডের সীমানা লাগোয়া ঝালদা ও বাঘমুণ্ডির বনাঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছে।