যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, সম্প্রতি ২০ জন সরকারি কর্মীকে ‘ডিটেলমেন্ট’ করেছে রাজ্য সরকার। নিজস্ব চিত্র।
বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার নামে, অর্থাৎ ‘ডিটেলমেন্ট’-এর নামে সরকারি কর্মীদের অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এখন এই কৌশলেই আন্দোলন দমন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ যৌথ মঞ্চের। তা বন্ধ না হলে আগামী ২২ মে থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মবিরতি। রবিবার বাঁকুড়ায় জেলা সম্মেলনে এমনই হুঁশিয়ারি দিল তারা।
যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, সম্প্রতি ২০ জন সরকারি কর্মীকে ‘ডিটেলমেন্ট’ করেছে রাজ্য সরকার। তার প্রেক্ষিতে মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্য সরকার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে লাগাতার কর্মবিরতির পথে হাঁটা হবে। তা শুরু হবে ২২ মে থেকে। নিজেদের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে ভাস্কর বলেন, ‘‘খাদ্য দফতরের ১৪০০ পদ অবলুপ্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী সোমবার থেকে কর্মবিরতির কর্মসূচি নিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পিছু হঠায় আমরা সোমবার থেকে কর্মবিরতির পথে যাচ্ছি না। আমাদের ২০ জন সহকর্মীকে ডিটেলমেন্ট করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারকে আমরা সময় দিচ্ছি। আগামী ২২ মে-র মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। নইলে ওই দিন থেকে লাগাতার কর্মবিরতি।’’
ভাস্করের সংযোজন, ‘‘রাজ্য জুড়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কর্মবিরতি করবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর। অতীতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতির জেরে কর্মচারীদের এক দিনের বেতন কাটা হয়েছে। এর বেশি রাজ্য সরকার কিছু করতে পারেনি। এখন বদলির যে খাঁড়া রাজ্য সরকার নামিয়ে এনেছে, তা রুখতে চাইছি। সেটা রুখতে পারলেই আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা যাবে।’’