Coronavirus Lockdown

গা ঘেঁষে গেল ঘূর্ণিঝড়, ভাঙল বহু বাড়ি

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝড়ের প্রভাবে জেলাজুড়ে প্রায় চার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০৫:৪৬
Share:

বিপত্তি: ঝড়ে ছিঁড়েছে হাইটেনশন তার। বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ থেকে জয়রামবাটী যাওয়ার রাস্তায়, চাঁচর মোড়ের কাছে। —নিজস্ব চিত্র

আমপান দূর দিয়ে বয়ে গেলেও, তার প্রভাবে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হল। বহু জায়গায় খুঁটি উপড়ে গিয়ে ছিন্ন হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। কোথাও কোথাও টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হয়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই সব পরিষেবা জেলার অনেক এলাকাতেই স্বাভাবিক হয়নি বলে খবর। তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বুধবার রাজ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমপান। তার প্রভাবে মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায়। বুধবার সকাল থেকেই দু’টি জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি চলে দফায় দফায়। বাঁকুড়া হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যের পর ঝড়ের গতিবেগ অনেকখানি বাড়ে। দিনভর হাওয়ার দাপট ঘণ্টায় কুড়ি-ত্রিশ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলেও সন্ধ্যার পরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ পঞ্চাশ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে।

বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ঝড়ের প্রভাবে জেলাজুড়ে প্রায় চার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাতেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩১টি ত্রাণ শিবির চালু করে এক হাজার ৬৩ জন মানুষকে সেখানে সরিয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার অবশ্য সবাইকেই ত্রাণ শিবির থেকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ঘরবাড়িগুলিতে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ত্রাণ শিবির সবই বন্ধ।”

Advertisement

পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে ৭৫০টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর এসেছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রয়েছে।”

এ দিকে, দুর্যোগ কাটতেই বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে এই দুই জেলার জনজীবন। এ দিন সকাল থেকেই বাজার-হাট সবই ছিল স্বাভাবিক। বুধবার সকাল থেকে ঝড়ের আতঙ্কে দুই জেলার রাস্তায় সাধারণ মানুষের তেমন দেখা মেলেনি। তবে এ দিন সকাল থেকেই জমে উঠেছিল বাজারহাট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement