Biswa Bharati

বহিরাগত বিতর্কে সরব বিকাশরঞ্জন

বিকাশবাবুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০০:৫৯
Share:

বহিরাগত বিতর্কে মুখ খুললেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই বহিরাগত বলে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই নিয়ে আগেই সরব হয়েছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও এ বার মুখ খুললেন। তিনি লিখেছেন, “রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বললেন বিদ্যুৎবাবু। তিনি নাকি বিশ্বভারতীর উপাচার্য! বিদ্যুৎবাবু কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন জানি না। তবে তার কার্যকলাপ দেখে আমি স্থির নিশ্চিত যে তিনি রবীন্দ্র আদর্শের কিছুই জানেন না।”

Advertisement

বিকাশবাবুর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের মানুষ নন, তিনি কলকাতা থেকে এসেছিলেন। তাই তাঁকে বীরভূমের ভূমিপুত্র বলা যায় না। কিন্তু, বিকাশবাবুর মতো এক জন প্রথিতযশা আইনজীবী যে ভাবে একটি সাধারণ বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে বিতর্ক সৃষ্টি করছেন তা দুর্ভাগ্যজনক।’’ তার প্রেক্ষিতে বিকাশবাবুর জবাব, ‘‘অনির্বাণবাবু শান্তিনিকেতনের ইতিহাস জানেন না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আগেই দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল শান্তিনিকেতনের।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “ভূমিপুত্রের ধারণা ভারতীয় সংবিধান স্বীকার করে না।’’

এ দিন বোলপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জেলা তৃণমূলের সভাপতিও এই নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথকে বহিরাগত বলা হলে শুধু ভারতবর্ষের মানুষ নন, গোটা পৃথিবী হাসবে। উনি কেন এমন কথা বলছেন জানি না।’’

Advertisement

অন্য দিকে পাঁচিল বিতর্কে শান্তিনিকেতন জুড়ে তৈরি হওয়া অচলাবস্থা কাটাতে এবং শিক্ষার পরিমণ্ডল ফিরিয়ে আনতে বিশ্বভারতী এসএফআই লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে ই-মেলের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী, পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি ও রেক্টর তথা রাজ্যপালের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement