অনুব্রতের সম্পত্তির খোঁজে সিবিআই। ফাইল চিত্র।
গরু পাচার মামলার তদন্তে এ বার বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে গেল সিবিআই। সূত্রের খবর, নামে-বেনামে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের কত জমি রয়েছে, সে সমস্ত তথ্য জানতে এই অভিযান। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে একাধিক নথি আধিকারিকরা পেয়েছেন। কাগজপত্র ছাড়াও অনলাইনে নথিভুক্ত জমিজমা সম্পর্কিত তথ্যও খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত ছ’ঘণ্টা ধরে তাঁরা বিভিন্ন নথিপত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। এর পর তাঁরা ওই দফতর থেকে বেরিয়ে যান।
মঙ্গলবার সকালে বোলপুরের নেতাজি মার্কেটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা ‘ভোলে বোম’, ‘শিব শম্ভু’র মতো চালকলের মালিকানা, লিজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান বলে খবর। এ ছাড়া, অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের স্থাবর সম্পত্তি ঠিক কত, সে সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে বোলপুরের কাশীপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনের ফ্ল্যাটে যান দুই সিবিআই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ব্যাঙ্ককর্মীও। পরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কেও যান তাঁরা।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, বোলপুরের ‘শাওন ধারা’ আবাসনে সহগলের নামে দু’টি ফ্ল্যাট আছে। তার মধ্যে একটি দু’কামরার ফ্ল্যাট, অন্যটি তিন কামরার বলে জানিয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যুক্ত এক কর্মী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানেও সহগলের দু’টি গাড়ি রয়েছে, যেগুলি অনুব্রত ব্যবহার করতেন। লালবাতি বিতর্কের আগে ওই গাড়ি দু’টি এখানে রাখা হয় বলে জানা যায়। এ-ও জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলা শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা প্রায় যাতায়াত করতেন সহগলের এই ফ্ল্যাটে। ওই ‘শাওন ধারা’ ফ্ল্যাটের ঠিক উল্টো দিকেই ১০ কাঠা জায়গা ঘেরা অবস্থায় রয়েছে। অনুব্রত এবং অনুব্রত ঘনিষ্ঠের এমন বহু জমির নথি দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা।