সিউড়ির সিংহ পরিবার। এক মাত্র জীবিত এখন ঈশানী (বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। নিজস্ব চিত্র।
সিউড়ির সমন্বয় পল্লির বাসিন্দা সিংহ পরিবারের মোট চার জন সদস্য-সদস্যা ছিলেন। মেয়ে ঈশানী , মা দীপ্তি, বাবা রামদাস (অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী) সিনহা এবং ভাই রাজদীপ সিনহা(যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণারত ছাত্র ছিলেন )। কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন সকলেই। বাকি তিন জন জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেও করোনাভাইরাসকে জয় করতে পেরেছেন ঈশানী।
স্থানীয় সূত্রের খবর দীপ্তি গত ৪ মে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরবর্তীতে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে স্থানান্তরিত করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর দেখাশোনা করতে, বাকি পরিবারের সদস্যরাও রামপুরহাট চলে যান। আর সেখানে বাকি পরিবারের তিন জন করোনাই আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসা চলতে থাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু মাত্র ৯ দিনের ব্যবধানে করোনা একে একে কেড়ে নেয় ঈশানীর পরিবারের তিন জনকে। গত ১৩ মে দীপ্তি চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাঁর ঠিক ৭ দিন পর ২০ মে তার বাবা রামদাস মারা যান। পরের দিনই ভাই রাজদীপ করোনায় প্রাণ হারান।
ব্যতিক্রম শুধু ঈশানী। তিনি করোনার সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বাড়ি ফেরেন। পরিবারের তিন সদস্যকে হারিয়ে ভেঙে পড়লেও হাল ছাড়ছে নারাজ ঈশানী। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সিউড়ির সমন্বয় পল্লী এলাকা অনেক বাসিন্দা। অনেককেই কিন্তু করোনা-জয়ী ঈশানী জীবনের লড়াইয়ে জয়ী হতে মনোবল জোগাচ্ছেন।