রেল আধিকারিকের বাড়িতে নোটিস লাগানো হচ্ছে। ছবি: তন্ময় দত্ত
পূর্ব রেলের আজিমগঞ্জ শাখায় কর্মরত এক ‘সিনিয়ার সেকশন ইঞ্জিনিয়ার’-এর বিরুদ্ধে মাস খানেক আগে দুর্নীতির অভিযোগে মুর্শিদাবাদের লালবাগ আদালতে মামলা রুজু করেছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। সেই মামলায় ওই আধিকারিক হাজিরা না-দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। শুক্রবার সকালে আরপিএফ এবং মুরারই থানার পুলিশ ডঙ্কা বাজিয়ে বাজার ঘুরে হাটতলাপাড়ায় ওই আধিকারিকের পেল্লায় বাড়িতে পৌঁছে সোটিস টাঙিয়ে দেয়। বাড়িতে অবশ্য কেউ ছিলেন না। ফলে, তাঁদের কারও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি।
আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ট্রাক ভর্তি রেলের লোহা সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ট্রাকে করে লোহা রেল গুদাম থেকে লোহা পাচার করার সময় আরপিএফ দু’টি ট্রাক ধরেছিল, সেই ঘটনার তদন্তেই হাটতলারাড়ার বাসিন্দা ওই রেল আধিকারিকের নাম উঠে আসে বলে সূত্রের খবর। এ দিন ডঙ্কা বাজিয়ে এলাকার মানুষজনকে সব জানানো হয়। পাশাপাশি আধিকারিকের বাড়িতে নোটিস সাঁটিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মে মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে ওই আধিকারিক আদালতে হাজিরা না-দিলে তাঁর সম্পপ্তি বাজেয়াপ্তকরা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বহু বছর পরে এই ডঙ্কার আওয়াজ শুনলেন তাঁরা। এ দিন ডঙ্কার আওয়াজ এবং পাড়ায় এত পুলিশ-আরপিএফ দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। তা ছাড়া, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে এত বড় দূর্নীতির মামলা রয়েছে, তা-ও তাঁদের অজানা। তবে, ওই রেল ইঞ্জিনিয়ারের বিশাল আকারের ঝাঁচকচকে বাড়ি ও বিসালবহুল জীবনযাপন নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। সেই বাড়ির সামনে পুলিশ দেখে অনেকেই এ দিন জানলা ও দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখেছেন কী হল। আবার অনেকে কৌতূহলে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন।
আরপিএফের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিক রজত রঞ্জন বলেন, ‘‘রেলের এক দুর্নীতিতে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে লালবাগ আদালতে। তিনি ফেরার রয়েছেন। তাই আদালতের নির্দেশে ডঙ্কা বাজিয়ে তাঁর বাড়িতে নোটিস টাঙানো হল। ২৯ মের মধ্যে হাজিরা না দিলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে আদালতের নির্দেশে।’’