সবুজকলি সেন নিজস্ব চিত্র
আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। বেনিয়মের অভিযোগে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন ও রেজিস্ট্রার সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের অবসরকালীন সমস্ত আর্থিক সুযোগ সুবিধা আটকে দেওয়া হয়েছিল। আদালত সেই মামলায় সবুজকলি সেন ও সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের সমস্ত অবসরকালীন বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেরই সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০০৮ সালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিশ্বভারতীর অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন ও সেই সময় রেজিস্ট্রার ছিলেন সৌগত চট্টোপাধ্যায়। এর পর উপাচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীতে বিদুৎ চক্রবর্তী দায়িত্ব নেন। তিনি কার্যভার বুঝে নেওয়ার পরেই সবুজকলি সেন ও সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা বেনিয়মের অভিযোগ তুলতে থাকেন। এমনকি, বরখাস্ত করা হয় দু’জনকেই। পরে সবুজকলি সেন অবসর নেন বিশ্বভারতী থেকে। কিন্তু বিভাগীয় তদন্তের কারণে আটকে দেওয়া হয় সবুজকলি সেনের সমস্ত প্রাপ্য। সেই মর্মেই বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সবুজকলি সেন ও সৌগত চট্টোপাধ্যায়।
ঘটনায় নাম না করে সবুজকলি সেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে আদালত সমস্ত বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিশ্বভারতীর সঙ্গে আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। একজন প্রতিহিংসার কারণে এই কাজ করেছেন বলেই আমার মনে হয়।’’