সহায়: পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানা চত্বরে। নিজস্ব চিত্র
নাম ‘বিনা পয়সার বাজার’। শুনেতে অবাক লাগলেও ঠিক এমনই বাজার বসেছিল পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থানা চত্বরে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে রবিবার এই বাজারের আয়োজন করেছিল বাঘমুণ্ডি থানার পুলিশ। তাদের দাবি, ওই দিন বাজার থেকে এলাকার ২১০ জন দুঃস্থ মানুষ বিনা পয়সায় আনাজ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেয়েছেন।
কী-কী ছিল বাজারে?
পুলিশ জানিয়েছে, থানার এক পাশে বড় একটি খালি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বাজারের জন্য। সেখানে ছিল মোট ১২টি ‘কাউন্টার’।
‘কাউন্টার’গুলিতে সাজানো ছিল আলু, ডাল, সর্ষের তেল, নুন, বিভিন্ন আনাজ, মুড়ি, বিস্কুট, সাবান-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। বাজারে ঢোকার মুখে দু’টি ‘কাউন্টার’-এ ‘স্যানিটাইজ়ার’ এবং ‘মাস্ক’ রেখে দিয়েছিল পুলিশ। সেগুলি ব্যবহার করেন বাজারে আসা মানুষজন। ‘কাউন্টার’গুলির দায়িত্বে ছিলেন পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা।
জিনিসপত্র নিয়ে ফেরার জন্য থলেও রাখা হয়েছিল বাজারে। সোমবার পুরুলিয়ার পুলিশসুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘সব থানাকেই অসহায় মানুষজনদের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। দুঃস্থ মানুষজনদের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের লক্ষ্য।
রবিবার বাজারে এসেছিলেন বাঘমুণ্ডি এলাকার মেনকা মুড়া, বিজলা চালকেরা। বাজার শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাঁরা বলেন, ‘‘খুবই অভাবের সংসার আমাদের। এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের সে কথা জানিয়েছিলাম। শেষে তাঁরাই এই বাজারে আমাদের আসতে বলেন।’’
কেবল প্রকৃত দুঃস্থ নাগরিকেরাই যাতে বিনা পয়সার বাজার করার সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে নিজস্ব সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশই তালিকা তৈরি করেছিল। তার পরে ওই দুঃস্থদের খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শীঘ্রই অযোধ্যা পাহাড়েও এই ধরনের একটি বাজারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাজার এলাকায় স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা লেখা অনেক প্ল্যাকার্ড ও ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছিল। ‘লকডাউন’ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ফেস্টুনে লেখা হয়েছিল— ‘বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন’, ‘লকডাউন মেনে চলুন’। সেখানে হাজির ছিলেন এসডিপিও (ঝালদা) সুমন্ত কবিরাজ, সার্কল ইনস্পেক্টর (বলরামপুর) পার্থকুমার সিংহ, বাঘমুণ্ডি থানার ওসি রজত চৌধুরী এবং পুিলশের অন্য আধিকারিক ও কর্মীরা।