সচেতনতায়: মুরারইয়ের ভাদীশ্বরে মাস্ক পরানো হচ্ছে পুলিশের উদ্যোগে। ছবি: তন্ময় দত্ত
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সমস্ত মানুষকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। কেউ মাস্ক না পরে বাড়ি থেকে বের হলে পুলিশকে পদক্ষেপও নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে মুরারই-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পথ চলতি বহু মানুষকে মাস্ক না পরেই বাজার করতে দেখা যাচ্ছে।
সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ, এখনও বেশ কিছু মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। যার কারণে সরকারের তরফ থেকে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হলেও তাঁরা তা মানছেন না। মাস্ক ছাড়াই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষ যদি নিজে সচেতন না হন, তা হলে কোনও দিনই করোনাভাইরাসকে হারানো যাবে না।
বৃহস্পতিবারও বোলপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাস্ক না পরা মানুষজনকে রাস্তাঘাটে দেখা গিয়েছে। সকালে বোলপুর আদালত যাওয়ার রাস্তার উপরে থাকা আনাজ বাজার থেকে শুরু করে মুদিখানার দোকান কিংবা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনের লাইন— সর্বত্রই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানেও অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। একই ভাবে বেশ কিছু মোটরবাইক আরোহীকে এ দিন মাস্ক না পরে ঘুরতে দেখা যায় শহরে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফ থেকে এই ধরনের শ্রেণির লোকজনকে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তার মোড়ে আটকে সতর্ক করা হয় এবং অযথা বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
একই ছবি ধরা পড়েছে জেলার বিভিন্ন শহরে। এ দিনই মুরারই ভাদীশ্বর মোড়ে প্রশাসনের তরফ মাস্ক না পরে থাকা পথচলতি লোকজনকে সচেতন করা হয়। যাঁরাই মাস্ক না পরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, তাঁদের অবিলম্বে মাস্ক বা সুতির রুমাল বা গামছা ব্যবহার করতে বলা হয়। একই সঙ্গে এ দিন মাস্ক না পরে থাকা ১০০ জন পথচলতি মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দেন বিডিও (মুরারই ১) নিশীথ ভাস্কর পাল।
এক শ্রেণির লোকজনের এমন অসচেতনতা দেখে বিরক্ত পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। বোলপুরের মহকুমাশাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ‘‘মাস্ক ছাড়া মানুষ যাতে বাড়ি থেকে না বের হন ,তার জন্য প্রতিনিয়ত প্রশাসনের তরফ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। আক্ষেপের বিষয়, এত কিছুর পরেও কিছু মানুষ তা শুনছেন না। এই মারণ ভাইরাসকে আটকাতে হলে, মানুষকে নিজে আগে সচেতন হতে হবে।’’