ঝাড়খণ্ড থেকে ফেরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হচ্ছে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে। ছবি: সুজিত মাহাতো
ভিন্ রাজ্য থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বাংলার পরিয়ায়ী শ্রমিকেরা। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড থেকে ১৪টি বাসে পুরুলিয়ায় এসেছেন ৩৪৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক। ঝালদার তুলিন সীমানা দিয়ে জেলায় ঢোকার পরে সোজা তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় পুরুলিয়া শহরের প্রান্তে দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হাতোয়াড়া ক্যাম্পাসে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, শারীরিক পরীক্ষার পরে তাঁদের নিজের নিজের জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককেই বলা হয়েছে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকতে। চিকিৎসকেরা যাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক ‘কোয়রান্টিন’-এর পরামর্শ দেবেন, তাঁরা সেখানে থাকবেন।
প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ড থেকে ফেরা শ্রমিকদের মধ্যে পুরুলিয়ার ১৮৪ জন, বাঁকুড়ার ৪৯ জন, বীরভূমের ১৬ জন, মুর্শিদাবাদের ৯২ জন এবং হাওড়ার চার জন রয়েছেন। এ দিন হাতোয়াড়ায় ওই শ্রমিকদের স্বাগত জানান পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেট। সুজয়বাবু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। এত দিন শ্রমিকেরা নানা অসুবিধেয় ছিলেন। তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয়, তা আমরা দেখছি।’’
ঝাড়খণ্ড থেকে ফেরা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নাজিম খান বলেন, ‘‘আমরা ১৪ জন রাঁচীতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতাম। লকডাউনে আটকে পড়েছিলাম। আজ নিজের রাজ্যের সীমানায় ঢুকলাম। বাড়ি ফিরতে পারছি বলে ভাল লাগছে।’’ পুরুলিয়ার বাসিন্দা দোলন সোরেন বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। ফিরতে পেরে ভাল লাগছে।’’
বৃহস্পতিবার রাতে পুরুলিয়ার জয়পুর সীমানা দিয়ে গুজরাত থেকে ফেরা ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ঢোকেন। তাঁদের ১২ জন পুরুলিয়া ও ৮ জন বাঁকুড়ার বাসিন্দা। রাতেই শারীরিক পরীক্ষার পরে, তাঁদের জয়পুর কৃষক বাজারে প্রতিষ্ঠানিক ‘কোয়রান্টিন’-এ রাখা হয়েছে।