প্রতীকী ছবি।
ছুঁয়েও ছোঁয়া গেল না লক্ষ্যমাত্রা। বাধা হয়ে দাঁড়াল ‘লকডাউন’!
২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে পুরুলিয়া জেলায় একশো দিনের কাজে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিল জেলা প্রশাসন। ৩১ মার্চ দেখা গিয়েছে, ওই প্রকল্পে ১ কোটি ১৭ লক্ষের কিছু বেশি কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ‘জনতা-কার্ফু’ এবং ‘লকডাউন’-এর জেরে অর্থবর্ষের শেষ দশ দিন একশো দিনের কাজের প্রকল্প কার্যত থমকে ছিল। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছে পৌঁছেও তা অধরা থেকে গিয়েছে।
জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া খুবই উৎসাহজনক। আগামী বছর আরও বেশি মানুষকে প্রকল্পে যুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’
২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষে জেলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ৮৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছিল। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে প্রশাসনের কর্তাদের উপলব্ধি ছিল, কর্মদিবস বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই গত অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়।
তথ্য বলছে, গত অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জেলায় কাজ পেয়েছেন দু’ লক্ষ তিন হাজারের কিছু বেশি পরিবার। মজুরি দেওয়া হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫১ লক্ষের বেশি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছে পৌঁছেও তা ছুঁতে না পাওয়ার আক্ষেপ ধরা পড়েছে আধিকারিকদের একাংশের কথায়। জেলার একাধিক বিডিও বলেন, ‘‘লকডাউন না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যেত।’’
গত অর্থবর্ষে সব থেকে বেশি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে বাঘমুণ্ডি ব্লকে। দ্বিতীয় স্থানে ঝালদা ১ ব্লক। তৃতীয় স্থানে রঘুনাথপুর ২ ব্লক।
বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপলদাস মোহরী বলেন, ‘‘জেলাশাসক বার বার ব্লকে এসে কর্মীদের উৎসাহিত করেছেন।” বিডিও (ঝালদা ১) রাজকুমার বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যাঁরা মাঠে নেমে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে বেশি সংখ্যক শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছে।”
বিডিও (রঘুনাথপুর ২) মৃন্ময় মণ্ডলের কথায়, ‘‘ব্লক ও পঞ্চায়েতের কর্মীরা গ্রামে-গ্রামে ঘুরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করার আবেদনপত্র পূরণ করিয়ে কাজ দিয়েছেন।”