Coronavirus

দুর্গম গ্রামে ত্রাণ কি যাচ্ছে, খোঁজ

এক সময়ে এই এলাকা মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ বলে পরিচিত ছিল। সেই সব এলাকা এখনও দুর্গম হয়েই রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০২:০৭
Share:

বাঘমুণ্ডির বড়গোড়া গ্রামের পথে পুরুলিয়ার জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

‘লকডাউন’-এ কেমন রয়েছেন অযোধ্যাপাহাড়ের বড়গোড়া, আমকোচার মতো প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন? তা দেখতে শনিবার সেখানে গেলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কিছুটা পথে হেঁটে, ঝোরা ডিঙিয়ে গ্রামে পৌঁছন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, মহকুমাশাসক (ঝালদা) সুশান্ত ভক্ত, বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপল দাস মোহরী প্রমুখ।

Advertisement

এক সময়ে এই এলাকা মাওবাদীদের ‘মুক্তাঞ্চল’ বলে পরিচিত ছিল। সেই সব এলাকা এখনও দুর্গম হয়েই রয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরুলিয়ার ভৌগোলিক অবস্থান একটা চ্যালেঞ্জ। পুরুলিয়ার মানুষ ছড়িয়েছিটিয়ে বাস করেন। বড়গোড়া গ্রামটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। এ রকম গ্রামে মানুষ কেমন আছেন? খাদ্যসামগ্রী তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছে কি না তা দেখা জরুরি ছিল বলেই খোঁজ নিলাম।’’

কী দেখলেন তাঁরা? বড়গোড়া গ্রামে কমবেশি ষোলো-সতেরোটি পরিবারের বাস। প্রশাসন সূত্রের খবর, গ্রামবাসী করোনাভাইরাসের নাম না জানলেও মারণ রোগ ঠেকাতে যে নাক-মুখ কাপড়ে ঢেকে রাখা দরকার, তা বিলক্ষণ জানেন।

Advertisement

পুলিশের সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের দেখে গ্রামবাসীদের অনেকে এগিয়ে যান। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে আধিকারিকেরা খোঁজ নেন, ভাত রান্না হয়েছে কি না। ঘরে চাল আছে না কি কিংবা রেশন আনতে কোথায় যেতে হয়। বিক্রম পাহাড়িয়া, অশোক পাহাড়িয়ারা জানান, রেশন পাওয়া যাচ্ছে। তাতেই ভাত রান্না হচ্ছে। আবার রামনাথ পাহাড়িয়া, বাসুদেব পাহাড়িয়ারা জানান, রেশনে যে চাল পাওয়া যায়, তাতে কুলোয় না। আনন্দ পাহাড়িয়া নামে এক যুবকের দাবি, তাঁর রেশন কার্ড নেই।

সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া চাল-ডালের প্যাকেট প্রতিটি পরিবারের হাতে তুলে দেন আধিকারিকেরা। যাঁদের বয়স ষাট বছর হয়েছে, তাঁরা যাতে ‘জয়বাংলা’ প্রকল্পে দ্রুত পেনশন পান, বিডিওকে তা দেখার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

পরে তিনি বলেন, ‘‘প্রায় সমস্ত পরিবারের কাছেই রেশন পৌঁছচ্ছে। দু’-এক জনের রেশন কার্ড নেই। যত দিন না নতুন রেশন কার্ড হচ্ছে, তাঁরা ত্রাণের সহায়তা পাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement