Coronavirus

পানীয় জলের সঙ্কট খাদান এলাকার গ্রামে

আপাতত পাঁচামি এলাকার সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার বন্ধ। ওই এলাকার মাটিতে পাথরের ভাগ বেশি থাকার জন্য এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে।

Advertisement

পাপাই বাগদি

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৩:২২
Share:

বিকল: টিউবয়েল খারাপ। ওঠে না জল। নিজস্ব চিত্র

লকডাউনে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে পাঁচামির পাথর খাদান এলাকার একাধিক গ্রামে। খাদান এলাকার পাথর শিল্পাঞ্চল থেকেই পানীয় জল সংগ্রহ করেন এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলির বাসিন্দারা। লকডাউনে শিল্পাঞ্চল বন্ধ থাকায় খাবার জল পেতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে বহু গ্রামে।

Advertisement

মহম্মদবাজার ব্লকের ভাঁরকাটা পঞ্চায়েতের শালডাঙ্গা, কেনপাহাড়ি, বারোমেসিয়া, তালবাঁধ, দেওয়ানগঞ্জ, হারমাডাঙ্গাল, খুঁটেপাড়া, গাবারবাথান-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পাঁচামির পাথর শিল্পাঞ্চলের ওপরেই নির্ভরশীল। আপাতত পাঁচামি এলাকার সমস্ত পাথর খাদান ও ক্রাশার বন্ধ। ওই এলাকার মাটিতে পাথরের ভাগ বেশি থাকার জন্য এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি টিউবওয়েল রয়েছে। তাতেও আবার বেশিরভাগ জায়গায় খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে টিউবওয়েল। কোথাও আবার জলস্তরের সমস্যার জন্য জল ওঠে না। এলাকায় যে সমস্ত খাদান ও ক্রাশার রয়েছে তার মালিক পক্ষ প্রতিটি এলাকায় সাবমার্সিবলের মাধ্যমে পাইপলাইনের সাহায্যে প্রতিটি গ্রামে কয়েকটি করে ট্যাপ লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই জল নিয়ে প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতেন তাঁরা। সে ভাবেই জলের জোগান মিলতো গ্রামবাসীদের। কিন্তু লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে পড়েছে সমস্ত খাদান ও ক্রাশার। এখন খাদান ও ক্রাশারগুলিতে কোনও কর্মী না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সাবমার্সিবল পাম্প। তাই জলও পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবুলাল টুডু, অজিত রাউট, ভঁরে হাঁসদা ও সোমাদিস হাঁসদা বলেন, ‘‘এই সমস্ত পাথরের এলাকায় এমনিতেই টিউবওয়েল থেকে জল বেরোয় না। বহুদিন আগে গ্রামে কয়েকটি টাইম কল বসানো হয়। কিন্তু সেই কলেও কোনও দিন জল আসেনি। স্থানীয় যে সমস্ত খাদান ও ক্রাশারগুলোতে সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে তাদের মালিকপক্ষকে গ্রামে জল দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে তাঁরা পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্রামের কিছুদূর অন্তর একটি করে কল লাগিয়ে দেন। এখন সাবমার্সিবল চালানোর লোক নেই। তাই পানীয় জল না পেয়ে খুব সমস্যার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রিয়া কোনাই বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রতিদিন মিস্ত্রি গ্রামে পাঠানো হচ্ছে। যে সমস্ত টিউবওয়েলগুলি ছোটখাটো সমস্যার জন্য খারাপ হয়ে রয়েছে সেগুলো ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। আর যে গুলোর বড় কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলো লকডাউনের জন্য পর্যাপ্ত জিনিসপত্র না থাকায় ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘আমি পাথর খাদান অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলে চেষ্টা করব যাতে করে প্রতিদিন অন্তত একবার করেও সাবমার্সিবলগুলো চালিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সেখান থেকেই জল নিয়ে গ্রামবাসীরা তাদের প্রয়োজনীয় জল বড় জায়গায় জমা করে রাখতে পারবেন ও অন্তত সারাদিন চালিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে সমস্যায় একটু কমবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement