মৃতের স্ত্রীকে অর্থসাহায্য কর্মাধ্যক্ষের। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শাসকদলের এক নেতার উপস্থিতিতে শ্রাদ্ধের ভোজে শাতাধিক লোকের শামিল হওয়ার অভিযোগ উঠল নানুরের কুড়গ্রামে। পুলিশ-প্রশাসন বারবার লকডাউনের সময় সামাজিক অনুষ্ঠানে জমায়েত করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানানো সত্ত্বেও কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সচেতন মানুষজন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো দিন আগে ওই গ্রামে এক দুঃস্থ পুরোহিতের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে তাঁর পারলৌকিক কাজ-সহ ভোজের ব্যবস্থা করেন। সোমবার ছিল সেই ভোজ। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। শুধু হাজির থাকাই নয়, মৃত তিনি মৃতের স্ত্রীর হাতে ভোজের আয়োজনের জন্য ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন। মৃতের স্ত্রী বলেন, “আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। সব ব্যবস্থা গ্রামবাসীরাই করেছেন। উনিও সাহায্য করেছেন।“
টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেও আব্দুল কেরিম খানের দাবি, এ দিন ভোজ হয়নি। মৃতের আত্মার সদগতির জন্য মুষ্টিমেয় যে কয়েক জন শ্মশানযাত্রী ছিলেন, তাঁদেরই খাওয়ানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রের যদিও জানা যাচ্ছে, ওই ভোজে গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ পাতে পাত ঠেকিয়ে খেয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন , প্রশাসন সর্বদা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে জমায়েত থেকে বিরত থাকতে বলছে। অথচ শাসকদলের
নেতার উপস্থিতিতে ভোজ হয়ে গেল। এর ফলে কি সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ল না?
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানান, ঘটনাটি তাঁরা জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। প্রশাসনও এড়িয়ে যাচ্ছে বিষয়টি। বিডিও (নানুর) অরূপকুমার মন্ডল বলেন, “এই পরিস্থিতি ভোজ করা যায় না। তবে, ওই গ্রামে কী হয়েছে, খোঁজ না নিয়ে কোন মন্তব্যে করব না।“