Coronavirus in West Bengal

স্বস্তি সংক্রমণ কমায়, সতর্কও স্বাস্থ্য দফতর

সোমবার বিকেলে প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ওই দিন  আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০১:৩৭
Share:

ঝুঁকি: বাসের ছাদে মাস্ক ছাড়াই। বোলপুরে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

পুজো পরবর্তী করোনা সংক্রমণের গতি বাড়বে বলে আশঙ্কা ছিল। তবে, বীরভূমের দুই স্বাস্থ্য জেলার সংক্রমণের রেখাচিত্র স্বস্তি দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, সংক্রমণ তো বাড়েইনি, বরং গত কয়েক দিনে বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় সংক্রমণের হার তুলনায় নিম্নমুখী। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা যদিও জানাচ্ছেন, এই তথ্য স্বস্তিদায়কহলেও একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। তা হল, সংক্রমণ কম মানেই করোনা বিদায় নিচ্ছে, এমনটা নয়। বরং সতর্কতার অভাব ঘটলেই যে কোনও মুহূর্তে লাফিয়ে বাড়তে পারে সংক্রমণের হার।

Advertisement

সোমবার বিকেলে প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ওই দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ জন। তার আগের চার দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে, ৭, ১০, ১৫ , ২০। অন্য দিকে, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় ওই দিন আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ জন। তার আগের চার দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২৩, ২৪, ৪৫, ৪৩ জন। আরও একটা স্বস্তিদায়ক তথ্য হচ্ছে সুস্থতার হার। বীরভূমে সুস্থতার হার ৮৪.৮১ শতাংশ। তবে, বীরভূম স্বাস্থ্যজেলাকে সুস্থতার হারে টেক্কা দিয়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলা। সেখানে সুস্থতার হার ছুঁয়েছে ৯২.০৬ শতাংশ। আবার রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় মৃত্যু হার বীরভূমের তুলনায় বেশি।

বীরভূম স্বাস্থ্যজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৭৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৫৩ জন। মৃত্যু হার ০.৫৯ শতাংশ। পজ়িটিভিটির হার ৩.৩৮ শতাংশ (প্রতি ১০০ টেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা)। অন্য দিকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২৮৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। সক্রিয় রোগী ১৯৭ জন। মৃত্যু হার ১.৩৮ শতাংশ। পজ়িটিভিটির হার ৩.৪০ শতাংশ।

Advertisement

জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, সতর্কতায় ঘটতি হলেই বিপদ অপেক্ষা করছে। সেটা যেন জেলাবাসী না ভোলেন। কারণ, এখন সংক্রমণ কমলেও উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। অনেকে আবার ইচ্ছাকৃত করোনা পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ফলে উপসর্গহীন কোভিড পজ়িটিভ হলে নীরবে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘পরিসংখ্যান যাই দেখাক, ভ্যাকসিন না-আসা পর্যন্ত উৎসাহ দেখানোর কোনও উপায় নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement