মাস্ক ছাড়াই রাস্তায়। শনিবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
ভ্যাকসিন ঠিক কবে আসবে তা এখনও অজানা। তবে তার আগেই কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী ১০ এবং ১১ ডিসেম্বর বোলপুরে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য স্তরের এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য জেলাগুলিকে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি জেলাগুলিকে বর্ধমান বিভাগের মধ্যে রাখা হয়েছে। কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োগ এবং কীভাবে ভ্যাকসিন কোল্ড চেনে যত্নে রাখতে হবে সে সম্বন্ধে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য কোথায় কোথায় দিতে হবে, কীভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার একটি তৃণমূল স্তরের জেলাওয়াড়ি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় এই পরিকল্পনা সম্বন্ধে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রামপুরহাটের মহকুমাশাসক তত্ত্বাবধান করবেন বলে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ত্রিদিব মুস্তাফি জানান।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ভ্যাকসিন রাখার জন্য ১৫টি কোল্ড চেন পয়েন্ট আছে। সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত রাখার ক্ষমতা আমাদের আছে। তাছাড়াও ভ্যাকসিন দিতে গেলে সিরিঞ্জ-সহ অন্য যে সামগ্রী লাগবে সেগুলি মজুত করার জন্য আলাদা জায়গা তৈরি রাখা হয়েছে।’’ সমস্ত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া কুরুমগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং রামপুরহাটে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের প্রশাসনিক ভবনেও ওই সমস্ত সামগ্রী রাখা হবে বলে তিনি জানান।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় কোথাও ভ্যাকসিন রাখার জন্য বড় ফ্রিজ বা ওয়াক-ইন-কুলার নেই। ওয়াক-ইন-কুলার দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান। স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ছোট ছোট অনেকগুলি আইএলআর আছে। সেগুলিতে ভ্যাকসিন রাখা হয়। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় কোথাও ২ লক্ষ জনসংখ্যার জন্য একটি আইএলআর স্বাস্থ্য ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে। আবার ২ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার জন্য বড় ধরনের আইএলআর স্বাস্থ্য ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিষেধক দেওয়ার সিরিঞ্জ রাখার জন্য জায়গা ঠিক করা হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ১৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৯০০ জনসংখ্যার জন্য সিরিঞ্জ সরবরাহের জন্য প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন রাখার জন্য ৮টি ছোট ফ্রিজ স্বাস্থ্য ভবন থেকে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ছোট ফ্রিজ স্বাস্থ্য ভবন থেকে পাওয়া যাবে বলে ডেপুটি সিএমওএইচ ত্রিদিব মুস্তাফি জানান। পাশাপাশি কোল্ড চেন পয়েন্টগুলিতে ভ্যাকসিন রাখার জন্য উন্নততর ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি কোল্ড পয়েন্টে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ‘ডেটা লোগার’ বসানোর কাজ শেষ হবে বলে ডেপুটি সিএমওএইচ জানান। ভ্যাকসিনের ব্যপারে বর্ধমান বিভাগের রাজ্যস্তরের প্রশিক্ষণ আগামী ১০-১১ ডিসেম্বর বোলপুরে অনুষ্ঠিত হবে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান।