মহম্মদবাজারে। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ দিনের দিন বেড়েই চলেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে রাস্তায় মাস্ক ছাড়া ঘোরা লোকের সংখ্যা। এমন আবহে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে পুজোর আগে আবার কড়া হল পুলিশ। সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরাতে জেলা জুড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। যাঁরা মাস্ক পরেননি, তাঁদের আটক করে মুচলেকা নেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনকি কোথাও কোথাও কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়।
এ দিন সকালে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড, মসজিদ মোড়, এসপি মোড় সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) দেবীদয়াল কুণ্ডুর নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। মসজিদ মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, যাঁরা মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের আটকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি শহর জুড়ে প্রচারও চালান হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থানা এলাকায় এ দিন বিকেল পর্যন্ত মোট ৭৮ জনকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাঁরা আর্থিক সঙ্কটের কারণে মাস্ক কিনতে পারেননি, এমন অনেককে পুলিশের পক্ষ থেকে মাস্ক দেওয়া হয়। সিউড়ির মতো মহম্মদবাজারেও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান হয়। মাস্ক না পরায় ৯০ জন বাইক এবং সাইকেল আরোহীকে আটক করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘণ্টা তিনেক থানায় বসিয়ে রাখার পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই রকম ভাবে এ দিন সাঁইথিয়া থানার পক্ষ থেকে ৭৬ জনকে আটক করা হয়।
এ দিন সকাল থেকে বোলপুর শহরের চৌরাস্তা, চিত্রা মোড় সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। ইলামবাজার এবং শান্তিনিকেতন থানার পক্ষ থেকেও অভিযান হয়। ইলামবাজার থানা এলাকা থেকে ২৮ জনকে আটক করা হয়। এ দিন এই এলাকায় অনেককে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়। রামপুরহাট শহর জুড়েও পুলিশ অভিযান চালায়। শহরের পাঁচমাথা মোড়, হাটতলা এলাকা, কামারপট্টি এলাকা সহ শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে পুলিশ অভিযান চালায়। বিকেলের দিকে রামপুরহটের মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল এবং এসডিপিও (রামপুরহাট) সৌম্যজিৎ বড়ুয়া মণ্ডপ পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁরাও মাস্ক নিয়ে অভিযান চালান।
পুলিশের তৎপরতায় খুশি জেলাবাসী। জেলাবাসীর অনেকেই বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এক শ্রেণির মানুষ মাস্ক ছাড়া অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পুজোর বাজারেও এই রকম চিত্র দেখা গিয়েছে। এমন সময় পুলিশ কড়া না হলে পুজোর সময়ও এক শ্রেণির মানুষ বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেরাতেন। পুলিশের এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ারও আর্জি রেখেছেন অনেকে।