নার্সিংহোম পরিদর্শন করলেন রাজেশ সিংহ। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকে সামনে রেখে জেলার তিনটি মহকুমায় তিনটি কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। সেই মতো সিউড়ির ও বোলপুরের দু’টি নার্সিংহোমকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকালে ওই দু’টি নার্সিংহোম পরিদর্শন করলেন করোনা হাসপাতাল রূপান্তরের জন্য নিযুক্ত রাজ্যের নোডাল অফিসার রাজেশ সিংহ। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি বেশ কিছু পরামর্শ দেন।
করোনা সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না। বাড়ছে আক্রান্ত, বাড়ছে মৃত্যুও। সব ক্ষেত্রে যাতে কলকাতার মুখাপেক্ষী না হতে হয়, সে জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় করানো আক্রান্তদের জন্য পৃথক হাসপাতাল গড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই অঙ্গ হিসেবে বীরভূমে কোভিড হাসপাতাল গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর ও সিউড়ির দু’টি নার্সিংহোম এবং তারাপীঠের কাছে একটি বেসরকারি হোটেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে কোভিড হাসপাতাল গড়ার জন্য। প্রতিটিকে ৪০ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা আছে। যেখানে ভেন্টিলেটরের সুবিধাও থাকবে।
এ দিন সকাল সাড়ে দ’শটা নাগাদ রাজেশ সিংহ প্রথমে সার্কিট হাউসে আসেন। সেখানে থেকে তিনি এবং জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রশান্ত অধিকারী, বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি-সহ প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে সিউড়ির ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য তৈরি হওয়া আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিসিইউ-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। এর পরেই করোনা আক্রান্তদের নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আলাদা রাস্তা রাখার নির্দেশ দেন রাজেশ সিংহ। সিউড়ি থেকে নোডাল অফিসার যান বোলপুরের ওই নার্সিংহোমে।
জেলাশাসক এ দিন বলেন, ‘‘কোভিড হাসপাতালগুলির তালিকায় প্রথমে রয়েছে বোলপুর। তার পরে আমরা দেখে নিচ্ছি, কোন হাসপাতালে কী কী পরিকাঠামো রয়েছে। আশা করছি আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে তৈরি করে নিতে পারব।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলে আপাতত তাঁকে বোলপুরের ওই হাসপাতালে রাখা হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সব পরিকাঠামো স্বাস্থ্য দফতর দেবে।