প্রতীকী ছবি।
দেহ ওয়ার্ড থেকে সরাতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। দিনের শেষে মৃতের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় অবশ্য স্বস্তি মিলেছে। তবে তেমনটা না হলে কী হত ভেবে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মঙ্গলবারের এই ঘটনায় এমএসভিপি এবং ডেপুটি সুপারকে দুপুর থেকে ফোন করা হলেও তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএসেরও। সন্ধ্যায় মেডিসিন বিভাগের প্রধান মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ অবস্থায় ছিল। সকালে মারা যাওয়ার পরে করোনা টেস্টের জন্য লালারস সংগ্রহ করা হয়। করোনা রিপোর্ট আসার অনেক আগেই দেহ সরানোর জন্য সিস্টারদের বলা হয়েছিল। তার পরেও এত দেরি হল কেন হল, তার খোঁজ নেওয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃত যুবকের নাম লক্ষ্মীচাঁদ শেখ। মুরারই থানার বালিয়ারা গ্রামের ২৫ বছরের ওই যুবক শ্বাসকষ্ট এবং জন্ডিসের উপসর্গ নিয়ে সোমবার বিকেলে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন।
মৃতের দাদা নাজিমউদ্দিন শেখ জানান, সকাল ৯টা নাগাদ ভাই মারা যায়। তার পরে করোনা টেস্টের জন্য লালারস সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিকেলে করোনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত দেহ দেওয়া হবে না।
এ দিকে, করোনা টেস্টের জন্য দেহ দীর্ঘক্ষণ ওয়ার্ডে পড়ে থাকার ফলে ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। মুরারই থানার জাজিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা বাবলু হালদার, তারক হালদারদের অভিযোগ, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারেন না।’’ সন্ধ্যায় হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃতের করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তখন দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)