ফাইল চিত্র।
বাঁকুড়া মেডিক্যালে কোভিড-১৯ পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ার ছাড়পত্র দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। অনুমতি মিলতেই পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ জোরকদমে শুরু করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর বাঁকুড়া মেডিক্যালে করোনা-পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ার ছাড়পত্র দিয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বি-তলে পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি জানান, পরিকাঠামো নির্মাণ হয়ে গেলে, পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র আনা হবে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে থাকা ‘টেকনিশিয়ান’-দের কোভিড-১৯ পরীক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বর্তমানে বাঁকুড়া মেডিক্যালের রোগীদের করোনা-পরীক্ষা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। জেলায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা খুব বেশি হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত পাঁচ সপ্তাহে বাঁকুড়া মেডিক্যাল থেকে প্রায় ৫১ জন রোগীর লালারসের নমুনা করোনা-পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত বাঁকুড়া মেডিক্যালের ‘ফিভার ওয়ার্ড’ ও ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ২৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। করোনা-পরীক্ষার জন্য তাঁদের সকলেরই লালারসের নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি।
পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, “আমরা কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনা-পরিস্থিতির জেরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে এত দিন কম অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। তবে ধীরে ধীরে অস্ত্রোপচার বাড়ানো হচ্ছে। অস্ত্রোপচারের আগে সব রোগীর কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি।”
হাসপাতাল সূত্রের খবর, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যালের তরফে স্বাস্থ্য দফতরের থেকে এক হাজার ‘কিট’ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সাংসদ সুভাষবাবু বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যালে আরও আগেই করোনা-পরীক্ষা চালু হওয়া উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও এই উদ্যোগ ভাল। আমরা চাই, এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা চালু হোক।”