ASHA Workers

শাস্তি, নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ আশাকর্মীদের

গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে  জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোলপুরের বিএমওএইচ সব্যসাচী রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০১:০৯
Share:

বিক্ষোভ: আশাকর্মীকে নিগ্রহে অভিযুক্তদের শাস্তি ও কাজে নিরাপত্তার দাবি আশাকর্মীদের। বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

সহকর্মীকে নিগ্রহে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলে বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন আশাকর্মীরা। করোনা মোকাবিলায় যোদ্ধা হিসেবে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাঁরা। এরপরও তাঁদেরকে বিভিন্ন জায়গায় নানা ভাবে হেনস্থা, নিগ্রহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বোলপুর থানাতেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। দুই জায়গাতেই তোলা হয়েছে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি।

Advertisement

বুধবার সিয়ান মুলুক পঞ্চায়েতের দ্বারকানাথপুর গ্রামের আশাকর্মী রহিমা খাতুন ও তাঁর পরিবারের লোকেদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বাড়ি ফিরে আসা তিন পরিযায়ী শ্রমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন রহিমা সহ পরিবারের তিন জন। বুধবারই বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে চেন্নাই থেকে দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক দ্বারকানাথপুর গ্রামে ফেরেন। প্রশাসনের তরফে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করিয়ে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই দু’জন হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরিবর্তে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই খবর পেয়ে ওই এলাকার আশাকর্মী রহিমা খাতুন তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকা কেন জরুরি বোঝান। সেই থেকেই রহিমার সঙ্গে বিবাদের শুরু। মঙ্গলবার ওই পরিবারের আরও এক আত্মীয় মহারাষ্ট্র থেকে ওই গ্রামে ফেরেন। তাঁকেও একই ভাবে হোম কোয়রান্টিনে থাকার পরামর্শ দিতে গেলে বুধবার ওই তিন শ্রমিক রহিমাকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ছাড়াতে গেলে রেয়াত করা হয়নি রহিমার পরিবারের লোকজনকেও। মারধর করা হয় তাঁদেরও। বুধবার রাতে রহিমার পরিবারের তরফে ওই তিন শ্রমিকের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

Advertisement

এ দিনের বিক্ষোভে উঠে আসে শুধু রহিমা নন, নানা দিকে আশাকর্মীরা হেনস্তা ও নিগ্রহের মুখে পড়ছেন। তার প্রতিবাদ জানান বোলপুর ব্লকের আশাকর্মীরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে চলে দীর্ঘ সময় বিক্ষোভ।

পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সদস্য মাধবী সিংহের কথায়, ‘‘এত ঝুঁকির মধ্যে কাজ করার পরেও এমন ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আশাকর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকেই।’’ আশাকর্মী ইউনিয়নের বোলপুর মহকুমা সংগঠক নমিতা দাসও একই আর্জি রেখেছেন।

গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোলপুরের বিএমওএইচ সব্যসাচী রায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement