প্রতীকী ছবি।
বার এক প্রসূতির করোনা ধরা পড়ল পুরুলিয়ায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বাঘমুণ্ডি ব্লক এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার করোনা ধরা পড়ার রিপোর্ট জেলায় এসেছে। এই নিয়ে জেলায় করোনা-আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৬২। তবে এত দিন যে ৬১ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তাঁরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে এক মহিলা ও এক বছরের এক শিশুকন্যা রয়েছে।
জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘এ দিন যাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে, তাঁর লালারস সংগ্রহের পরে ১৪ দিন পার হয়ে গিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই।’’ প্রসূতির সন্তানের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হচ্ছে বলে জানান বিডিও (বাঘমুণ্ডি) উৎপল দাস মোহরী।
সন্তান প্রসবের জন্য ওই মহিলাকে গত ১৬ মে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালেই তাঁর করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২২ মে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতালের সুপার সুকোমল বিষয়ী বলেন, ‘‘সন্তান প্রসবের পরে ওই মহিলার উপসর্গ দেখা দেয়। তখনই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবুও হাসপাতালে সে সময়ে যাঁরা ভর্তি ছিলেন, ওই মহিলার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে নজরে রাখা হচ্ছে। তবে কারও উপসর্গ নেই।’’
বিডিও (বাঘমুণ্ডি) বলেন, ‘‘বর্তমানে আক্রান্ত-সহ ওই পরিবারের কারও উপসর্গ নেই। তবু ওই বাড়ি ঘিরে কনটেনমেন্ট জ়োন ও আরও কিছুটা এলাকা বাফার জ়োন করা হয়েছে। ওই পরিবারের চার জন এবং ওই বাড়ি সংলগ্ন একটি পরিবারের আরও চার জনকে ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।