প্রতীকী ছবি।
করোনা-আতঙ্কে গোটা বিশ্ব সিঁটিয়ে। তার মধ্যেই বুধবার গভীর রাতে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিউমোনিয়ায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। করোনা নয় তো, আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে। তবে সব সন্দেহের অবসান ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে নাইসেডের থেকে পাওয়া ওই বৃদ্ধার লালারসেরকরোনা নেগেটিভ রিপোর্টে।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ বলেন, ‘‘বৃদ্ধার অসুস্থতার উপসর্গ দেখে তাঁর লালারসের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল মঙ্গলবার। বুধবার রাত পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। বুধবার গভীর রাতে তিনি মারা যাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সকালে খবর নিয়ে জানতে পারি করোনা নেগেটিভ। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’’
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, বছর বাহাত্তরের ওই বৃদ্ধা নিউমোনিয়ায় মারা গিয়েছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবেও সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মহম্মদবাজার থানা এলাকায় ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তা ছিল। কারণ, করোনা পজিটিভ হতে হলে যা যা উপসর্গ লাগে সেগুলির সঙ্গে অনেক মিল ছিল। জানা গিয়েছে, তিনি অনেকের সঙ্গে দুবরাজপুরের একটি বাস ভাড়া করে উত্তরপ্রদেশে তীর্থে গিয়েছিলেন। বৃন্দাবন থেকে ২০ মার্চ জেলায় ফিরেছিলেন। অন্য সকলের সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়। কিন্তু, হোম কোয়রান্টিনে থাককালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওঁর ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার থেকেই প্রবল ভাবে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন মা। সঙ্গে ছিল বুকে সংক্রমণ। সে দিনই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা ওঁর শরীরের অবস্থা খুব একটা ভাল বোঝেননি। ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল শারীরিক অবস্থা। তার সঙ্গে পেটের সমস্যা ও বুকে সংক্রমণের মতো উপসর্গের কারণে আর ঝুঁকি নিতে রাজ হননি চিকিৎসকেরা। লালারসের নুমনা যায় কলকাতায়। এলাকাতেও নানা কথা রটেছিল। মৃত্যুর পরে সেই চর্চা আরও বাড়ে। বৃদ্ধাকে বাঁচানো যায়নি, তবে স্বস্তি দিয়েছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্টটাই।