ছবি: টুইটার
করোনা পরিস্থিতিতে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচি। বেঁধে দেওয়া হয়েছে দর্শকের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য এক গুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। তবুও ওই অনুষ্ঠানের আয়োজনকে ঘিরে সংশয়ে এলাকাবাসীর একাংশ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার থেকে ১৬৬তম হুল দিবস উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা ও ছাতনায়। তালড্যাংরার বেসিক স্কুল মাঠে ও ছাতনায় ব্লক অফিসের অডিটোরিয়াম চত্বরে অনুষ্ঠানের মঞ্চ গড়া হচ্ছে।
জেলার অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, তালড্যাংরার অনুষ্ঠানে খাতড়া মহকুমার ইঁদপুর ব্লক ছাড়া বাকি সাতটি ব্লক এবং বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর ও জয়পুর ব্লকের মানুষজনের থাকার কথা। ছাতনার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছাতনা-সহ শালতোড়া, বাঁকুড়া ১, বাঁকুড়া ২, মেজিয়া ও বড়জোড়া ব্লকের মানুষজনের। দু’টি অনুষ্ঠানেই প্রতিটি ব্লক থেকে কমবেশি একশো জন মানুষকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
তবে এত মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে কী করে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের জেলা আধিকারিক কল্যাণ সিংহের দাবি, ‘‘দু’টি অনুষ্ঠানেই প্রচুর চেয়ার রাখা থাকবে। প্রতিটি চেয়ারের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব থাকবে। অনুষ্ঠানে আসা লোকজনকে ‘মাস্ক’ ও ‘স্যানিটাইজ়ার’ দেওয়ার হবে। ‘থার্মাল স্ক্রিনিং’ করে জ্বর আছে কি না দেখা হবে। সমবেত নৃত্য হবে না। শিল্পীরা একক ভাবে অনুষ্ঠান করবেন।’’ বিডিও (তালড্যাংরা) সৌরভ মজুমদার বলেন, “প্রত্যেক মানুষের মধ্যে যাতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকে, সে দিকে নজর থাকবে।”
বাঁকুড়ার চিকিৎসক তথা বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের মতে, ‘‘করোনা আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই কোনও উপসর্গ থাকছে না। এই পরিস্থিতি থার্মাল স্ক্রিনিং করে কী ভাবে কে করোনা আক্রান্ত, কে নয়, কী ভাবে ধরবেন প্রশাসনিক কর্তারা? এই পরিস্থিতিতে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজনে আমি হতবাক।”
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানে অনেক কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। সংক্রমণ রুখতে যা যা করণীয় সবই করা হচ্ছে।”