কালনায় জেলা সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম। ছবি: জাভেদ আরফিন মণ্ডল।
আলস্য ও আড়মোড়া ভেঙে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, শুক্রবার দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলনে এসে নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রকাশ্য সমাবেশ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মেহনতি মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। আমাদের অনেক কমরেড আছেন, তাঁদের আলস্য কমাতে হবে। অনেক কর্মী রয়েছেন, যাঁদের আড়মোড়া ভেঙে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। মানুষ বড় অসহায়। মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করলেই তাঁদের সাহস বাড়বে।’’
৪৬ বছর পরে এ বার সিপিএমের জেলা সম্মেলন হচ্ছে কালনা শহরে। তিন দিনের এই সম্মেলনের প্রথম দিনে হল প্রকাশ্য সভা। বাকি দু’দিন পুরশ্রী মঞ্চে প্রতিনিধিদের নিয়ে হবে সম্মেলন। তৈরি হবে নতুন জেলা কমিটি। এ দিন সভায় সেলিম নানা বিষয় নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের বিরুদ্ধে সরব হন।
সভায় সেলিম জানান, কালনায় মহাদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুশোভন চৌধুরীর মতো অনেকে নিহত হয়েছেন। তাঁরা মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করার লড়াই করতে চেয়েছিলেন। রাজ্যের নানা দুর্নীতি নিয়ে এ দিন অভিযোগ তোলেন সেলিম। তাঁর দাবি, রাস্তায় পণ্যের গাড়ির উপরে জুলুম হচ্ছে। ফলে, পণ্যের দামও বাড়ছে। রাজ্যে তৃণমূলের সরকার ও কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার সাধারণ মানুষের উপরে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আর জি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘অনেকে বলেন, তৃণমূলকে দিয়ে হবে না, বিজেপিকে দিয়ে হবে। সিআইডি-কে দিয়ে হবে না, সিবিআই-কে দিয়ে হবে। আমরা বলেছিলাম, নীতি-আদর্শ-সততা না থাকলে, আইনের শাসন না থাকলে বিচার কে করবে?’’
তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র দেবপ্রসাদ বাগের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সিপিএমের নেতাদের বলব, নিজেদের অতীত নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ান। বামের ভোটব্যাঙ্ক তো রামে চলে গিয়েছে। ওঁদের নিয়ে আমরা চিন্তা করি না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সিপিএম দিল্লিতে এক রকম কথা বলে, বাংলায় আর এক রকম। তাই ওদের জনসমর্থন তলানিতে।’’