এমন বাড়িতে বাস করেও নাম ওঠেনি। নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনায় বাড়ির সমীক্ষার জন্য ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন নলহাটির পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক মাল। সেই সমীক্ষা হওয়ার পরেও খড়ের চাল ও মাটির বাড়িতে থাকা কার্তিকের নাম আবাস-তালিকায় ওঠেনি বলে অভিযোগ। নলহাটি ১ ব্লক অফিসে বিডিওর কাছে সেই অভিযোগ জানিয়েছেন কার্তিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি ১ ব্লকের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক মাটির বাড়িতে পরিবার ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বসবাস করেন। আবাসে নাম না থাকায় দিন দু’য়েক আগে ব্লক অফিসে লিখিত ভাবে বাড়ির জন্য ফের আবেদন করেন তিনি। পেশায় দিনমজুর কার্তিক জানান, বছরের অধিকাংশ সময় তিনি অন্য জেলা ও রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘মাটির বাড়িতে বর্ষা ও শীতে প্রচণ্ড কষ্ট পায় পরিবার। কেন আমার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ল তা অজানা।’’
কার্তিক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মাটির বাড়িতে বসবাস করছি। তাঁর কথায়, ‘‘বৃদ্ধ মায়ের ওষুধ, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা ও সংসার খরচ করে এক টাকাও জমাতে পারি না। তাই বাড়ি তৈরি করতে পারিনি।’’ তিনি জানান, বাড়ির জন্য চলতি বছরের অগস্ট মাসে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেছিলেন। তার পরে বিডিও অফিস থেকে ফোন করে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
কার্তিক কথায়, ‘‘সেই মতো নথি-সহ বাড়ির ছবি জমা দিয়েছিলাম। প্রশাসনের আধিকারিকরা বাড়ি পরিদর্শন করার পরেও তালিকায় নাম কেন বাদ গেল তা জানি না। আবারও বাড়ির জন্য বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন করেছি।’’
আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরাও। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘যদি স্বচ্ছ ভাবে তালিকা না প্রকাশ হয় তাহলে জেলা জুড়ে আন্দোলন শুরু হবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, ‘‘নলহাটি ১ ব্লকে আবাসের বাড়ি নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। বিরোধীরা প্রতিবাদ করলে ব্লক চত্বরে মার খেতে হচ্ছে।’’
পাইকপাড়া গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা কেকা মাল বলেন, “উনি আবাসে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। কেন নাম বাদ গেল জানা নেই। প্রশাসনের কাছে আবেদন করব যেন পুনরায় সমীক্ষা করে নাম নথিভুক্ত করা হয়।” বিডিও (নলহাটি ১) সৌরভ মেহেতা বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে আবারও সমীক্ষা করে দেখা হবে।’’