নিহত কাউন্সিলরের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।
ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় নিহতের দাদাকে সোমবার সকালে আটক করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তাঁর ভাইপোকেও। তাঁদের দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, নিহত ওই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এ বার তৃণমূলের টিকিটে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি পরাজিত হন। দীপক এবং তাঁর বাবাকে সোমবার সকালে আটক করে ঝালদা থানার পুলিশ। ফলে এই খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, নাকি পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় তপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পুরুলিয়ার ঝালদায়। রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার সদ্য জয়ী কাউন্সিলর তপনকে গুলি করে মোটর বাইকে উঠে চম্পট দেন কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে কাউন্সিলরকে রাঁচিতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা। যদিও সেই হাসপাতালে ভর্তির আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদা বাঘমুণ্ডির রাস্তা ধরে সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সদ্য জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেই সময় একটি বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতী আচমকা তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। এর পর খুব কাছ থেকে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কংগ্রেস কাউন্সিলর।
সদ্য শেষ হওয়া পুরসভা নির্বাচনের ফলাফলে ত্রিশঙ্কু অবস্থা রয়েছে ঝালদা পুরসভায়। এই পুরসভার ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেস পাঁচটি করে আসনে জয়লাভ করে। দু’টি আসনে জয় পান নির্দল প্রার্থী। পরবর্তী কালে একজন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দলই। ফলে ঝালদা পুরসভায় কোন দল বোর্ড গড়বে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং পরে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।