Bolpur

শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পিটিয়ে খুনের নালিশ

তবে, জামাইকে মারধর বা বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়ের বাবা শেখ মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। ফাঁসানোর জন্য ছেলের পরিবার এই ধরনের অভিযোগ এনেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:৩১
Share:

আউশগ্রামে ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ, (ইনসেটে) সাজাহান। নিজস্ব চিত্র

শ্বশুরবাড়িতে ডেকে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইকে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাজাহান শেখ (৩৭) মারা যান। মৃতের পরিবারের তরফে বোলপুর থানায় মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি, স্ত্রী সহ সাত জনের নামে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। মৃতের কাকা আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, ‘‘পরিকল্পনা করে শ্বশুরবাড়ি লোকেরা মারধরের পরে বিষ খাইয়ে ভাইপোকে মেরে ফেলেছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়ের বাবা শেখ মনজুর হোসেন। এখনও পর্যন্ত আটক বা গ্রেফতারের খবর নেই।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাহানের বাড়ি আউশগ্রামের উক্তা এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে সাজাহানের সঙ্গে বোলপুরের সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘিদহ এলাকার ফারহানা বেগমের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি মেয়ে আছে। সাজাহানের পরিবারের দাবি, বছর কয়েক আগে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারলে দু’জনের অশান্তি শুরু হয়। গুসকরা ও বোলপুরে মীমাংসা বৈঠকও হয়। মৃতের ভাই বাবর আলির দাবি, ‘‘মেয়ে কান্নাকাটি করছে বলে মঙ্গলবার ফারহানা ফোনে সাজাহানকে ডেকে পাঠান। সাজাহান বোলপুর গেলে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডাইরি করা হয়।’’ বুধবার কোনও ভাবে সাজাহানের পরিবার জানতে পারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর ধরে মুখে বিষ ঢেলে আটকে রেখেছে। সাজাহানের বাড়ির লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করায়। বুধবারই ফারহানা সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বোলপুর থানায় এফআইআর দায়ের হয়।

বৃহস্পতিবার সাজাহানকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমানের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার ফের বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই দুপুরে মারা যান। সোমবার ময়নাতদন্ত হয় বর্ধমান পুলিশ মর্গে। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মৃতের জামাইবাবু শেখ উজ্জ্বল দাবি করেন, ‘‘এক্সরে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সাজাহানের পাঁজরের হাড় ভাঙা ছিল। অর্থাৎ, বেধড়ক মারধর করে মুখে বিষ দিয়ে খুন করা হয়েছে। এর তদন্ত চাই।’’

Advertisement

তবে, জামাইকে মারধর বা বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়ের বাবা শেখ মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। ফাঁসানোর জন্য ছেলের পরিবার এই ধরনের অভিযোগ এনেছে। আমরাও চাই পুলিশ তদন্ত করুক।’’ এ দিকে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আউশগ্রামের উক্তা গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা সোমবার বিকেলে গোবিন্দপুরের কাছে ২বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement