প্রতীকী ছবি।
তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত বয়স্কদের পেনশন প্রকল্পে কিছু মানুষের বয়স বাড়িয়ে ওই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএম ও নির্দল পরিচালিত বাঁকুড়ার রাইপুরের সোনাগাড়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বাসিন্দাদের একাংশ এই মর্মে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
বিডিও (রাইপুর) সঞ্জীব দাস বলেন, ‘‘ভোটার কার্ডের বয়সের উল্লেখ করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বাসিন্দারা। কী প্রমাণের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিদের নাম প্রকল্পের উপভোক্তা হিসেবে জমা পড়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অভিযোগকারী বাসিন্দাদের তরফে প্রণব মণ্ডল, অমরনাথ মণ্ডল, রাজীব মণ্ডল, অমিয় মণ্ডলদের দাবি, ‘‘তফসিলি জাতি ও জনজাতির ৬০ বছর বা তার উর্দ্ধের বয়স্ক মানুষদের জন্য মাসে এক হাজার টাকার পেনশন প্রকল্প ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে সোনাগাড়া পঞ্চায়েত অন্যায় ভাবে ১৩ জনের বয়স বাড়িয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতের মোট আসন আটটি। তার মধ্যে সিপিএম দু’টি ও নির্দল তিনটি আসন নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে। তিনটি আসন নিয়ে পঞ্চায়েতে বিরোধী হয় তৃণমূল। প্রধান নির্বাচিত হন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সমর্থিত নির্দল লালু হাঁসদা, উপপ্রধান হন সিপিএমের রীতা সোরেন। প্রধান বতমানে অফিসে না আসায় উপপ্রধান দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিশু ও নারীকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী হালদার ও সোনাগাড়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ভজন মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে ১৩ জনের বয়সের কারচুপি করে পেনশন পাইয়ের দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু দিন আগে ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। যাঁদের বয়স ভাঁড়ানো হয়েছে, তাঁদের ভোটার কার্ডে বয়সের প্রমাণপত্র-সহ বিষয়টি বিডিও-কে জানানো হয়েছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে সোনাগাড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রীতা সোরেন দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে শাসকদলের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। বয়সের প্রমাণপত্র-সহ ওই প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত লোকেদের নাম পাঠানো হয়েছে।’’