অভিযোগ নিয়ে স্মারকলিপি বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে
Visva-Bharati University

অনলাইন ভর্তির সমস্যায় আমল না-দেওয়ার নালিশ 

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এবং বুধবার পরপর দু’দিন সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে সমাধানের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল দুই ছাত্র সংগঠন।

Advertisement

সৌরভ চক্রবর্তী

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

কোনও পড়ুয়া নিজের নথি অনলাইনে আপলোড করতে পারেননি, কেউ আবার টাকা জমা দিতে গিয়ে সমস্যার মুখে। ভর্তির পরেও নথি পরীক্ষায় বাদ পড়েছেন এমন উদাহরণও আছে। ভর্তি সংক্রান্ত একের পর এক অভিযোগ বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা হওয়ার পরেও তার সুরাহার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ এসএফআই, এবিভিপির মতো ছাত্র সংগঠনগুলির।

Advertisement

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এবং বুধবার পরপর দু’দিন সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে সমাধানের দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল দুই ছাত্র সংগঠন।

করোনা পরিস্থিতিতে এ বারই প্রথম সম্পূর্ণ অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই প্রক্রিয়া শুরুর পরেই দেখা যাচ্ছে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

ত্রিপুরার দীপম নাথ এই বছর আবেদন করেছিলেন সঙ্গীতভবনের ধ্রুপদী যন্ত্রসঙ্গীত বিভাগে। ১২ নভেম্বর তাঁর কাছে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে ই-মেল আসে নথি আপলোড করার এবং টাকা জমা দেওয়ার।

সেই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সময় দেওয়া হয় মাত্র দু’দিন। কিন্তু, অনলাইনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন। সেই কথা ক্রমাগত বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানোর পরেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই আবেদনকারীর অভিযোগ। দীপমের কথায়, ‘‘এক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।’’

প্রায় একই অভিজ্ঞতা গণিত বিভাগের ছাত্র সুদীপকুমার মণ্ডলের। স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে টাকা জমা দেওয়ার পরেও অজ্ঞাত কারণে টাকা জমা পড়েনি। সেই বিষয়ে বহু বার জানানোর এক মাসেরও বেশি সময় পরে ফের টাকা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয়।

সুদীপ বলেন, “আমাকে পেমেন্ট আপডেট করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা রাখা হয়নি।’’ বিশ্বভারতীর অন্দরে অভিযোগ, এমন উদাহরণ বহু। ভর্তির পরেও কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে আবেদন নাকচ করে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

এই সমস্ত ঘটনা সামনে রেখে ১২ দফা দাবি জানিয়েছে এসএফআই। তার মধ্যে অ্যাডমিশন সেলের হেল্পলাইন নম্বর নিয়মিত সক্রিয় রাখা, নির্দিষ্ট সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা, আবেদনপত্রের ভুল সংশোধনের জন্য সময় দেওয়া, সমস্ত পড়ুয়ার স্টুডেন্ট আইডি দেওয়া যাতে তাঁরা হস্টেলের জন্য আবেদন করতে পারেন, অফলাইনেও টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি অন্যতম। একইসুরে এবিভিপির বিশ্বভারতী শাখার সম্পাদক ভাস্কর মিশ্র বলেন, “অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় পড়ুয়ারা যাতে কোনও সমস্যার মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করার দায় বিশ্বভারতী প্রশাসনের। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তা পালিত হচ্ছে না।”

এই বিষয়ে চেষ্টা করেও বিশ্বভারতীর তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement