প্রতীকী ছবি।
নিজের শোওয়ার ঘরের সিলিং ফ্যানে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল এক কলেজছাত্রী। তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা, ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’ মঙ্গলবার পুরুলিয়ার সাঁওতালডি কোলিয়ারি এলাকায় এই ঘটনায় হতবাক ছাত্রীর পরিবার-সহ পাড়াপ্রতিবেশীরা। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ সাঁওতালডি কোলিয়ারি এলাকায় মেঘা গরাই (২০) নামে তৃতীয় বর্ষের এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে এলাকার একটি মেলায় গিয়েছিলেন মানিক। বাড়িতে একাই ছিলেন মেঘা। সকালে মেলা থেকে ফিরে এসে বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কাধাক্কি করলেও তা খোলেননি তিনি। এর পর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মেঘার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর পরিবার।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, মেঘার বাবা মানিক গরাই সাঁওতালডি কোলিয়ারির কর্মী। চাকরির সূত্রে এই এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। এলাকায় শান্তশিষ্ট বলে পরিচিত মেঘা কী কারণে আত্মহত্যা করল? প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট নিয়েও রহস্য বাড়ছে। এটি আদৌ আত্মহত্যা কি না তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘটনার কারণ খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।