নামছে পারদ। সন্ধ্যা নামার মুখে ঠান্ডায় আগুনের পাশে টোটো চালকেরা।শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া রাস্তায় উত্তরপল্লিতে। শনিবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
ডিসেম্বর পৌঁছে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ছে না। কিন্তু, শনিবারই এই মরসুমের শীতলতম দিন পেল বীরভূম। এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। বইছে উত্তুরে হাওয়া।শরীর ঢাকতে ভারী পোশাকের খোঁজ শুরু হয়েছে।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডা পড়ায় খুশি হয়েছিলেন জেলাবাসী। কিন্তু, ডিসেম্বর আসার দিন তিনেক আগে হঠাৎই যেন উধাও হয়ে গিয়েছে শীত। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় চুরি করে নিয়েছিল শীত। কিন্তু, ফের আকাশ পরিষ্কার হতেই পারদ পতন শুরু হয়েছে জেলায়। ফের নেমেছে লেপ-কম্বল।
রামপুরহাটের রাস্তায় সন্ধ্যায় তেলেভাজা। হাটতলা মোড় থেকে তোলা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পারদ নেমেছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে যা ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। আরও এক দিন পারদ পতনের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় সোমবার বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে বীরভূমও। কুয়াশা থাকতে পারে। তবে, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, তার পর দিন কয়েক ফের সামান্য বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
শুক্রবার থেকেই ফের বাতাসে কাঁপন টের পাচ্ছিলেন জেলার মানুষ। শনিবার সকাল থেকে ঠান্ডার দাপট আরও বেড়েছে। মেঘমুক্ত আকাশ ছিল এ দিন।ঠান্ডা বাতাসও বইছে। অনেকে বলছেন, ‘‘অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, মাঠে যতক্ষণ ধান থাকে, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে না। এখন ধান কাটা প্রায় শেষের পথে। তার পরেই নামছে পারদ।’’ শীতের হাত ধরে খেজুর গুড়ের স্বাদ ফিরছে। পরিযায়ী পাখিরা আসতে শুরু করেছে, শীতকালীন আনাজের জোগান বেড়েছে, তেলেভাজার বিক্রি বেড়েছে।
তাপমাত্রা এক বা দুই ডিগ্রি বাড়বে না কমবে, কতদিন স্থায়ী হবে শীত— এ সব না-ভাবে এই ঠান্ডা উপভোগ করতে চান জেলার মানুষ।