বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী ফের ছাত্র বিক্ষোভ। পিএইচডি এবং এমফিলের ফি বৃদ্ধি এবং ‘বিনা কারণে’ ছাত্রদের সাসপেনসেনের প্রতিবাদে শনিবার বিশ্বভারতীর ‘সেন্ট্রাল অফিস’-এর সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্বভারতীর গবেষণারত পড়ুয়াদের সংগঠন।
কিছু দিন আগেও বিশ্বভারতীর পিএচডি এবং এমফিলের টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিলেন পড়ুয়ারা। সেই একই দাবিতেই বিশ্বভারতীর মূল দফতরের সামনে ফের হল পড়ুয়া বিক্ষোভ। গবেষণায় যুক্ত ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে পিএচডি এবং এমফিলের ফি বাড়িয়ে ১৪০০ এবং ১১০০ টাকা করেছেন। অতিমারি পরিস্থিতিতে ফি মকুবের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সম্প্রতি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অন্যায় ভাবে কয়েক জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা। এ ছাড়া কয়েকদিন আগেই সামান্য একটি চুরির ঘটনার পর শিক্ষাভবনে প্রবেশাধিকারে নানান বিধিনিষেধ জারি করেছেন কতৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে এক গবেষক বলেন, ‘‘আমাদের কাজ করতে দেওয়া হোক। শিক্ষাভবন ফের খুলে দেওয়া হোক।’’ গত মাসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অধ্যাপকদের একাংশ ভার্চুয়াল বৈঠকে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগের সমর্থনে ভার্চুয়াল বৈঠকের ওই দু’টি অডিয়ো ক্লিপও প্রকাশ করা হয় শিক্ষক সংগঠনের তরফে।